ঢাকা শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩

পাঁচ দফা দাবি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির

পাঁচ দফা দাবি বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: সমকাল

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২২:০০ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ২২:০৩

‘কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় চাই’ স্লোগানকে সামনে রেখে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি নোয়াখালী জেলা শাখা। মঙ্গলবার নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে এ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব প্রফেসর ড. লোকমান ভূঁইঞা। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৮০ সালে অন্য কয়েকটি ক্যাডারের পাশাপাশি শিক্ষা ক্যাডার সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৪৩ বছর পেরিয়ে গেলেও বিশেষায়িত ক্যাডার হিসেবে গড়ে তোলা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প- ২০৪১ বাস্তবায়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা ব্যবস্থাপনার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। তাই শিক্ষায় জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে উপজেলা, জেলা, অঞ্চলে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তর, অধিদপ্তর ও প্রকল্পসমূহ পরিচালনায় শিক্ষা প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য ১৯৮০ সালে অন্য কয়েকটি ক্যাডারের পাশাপাশি শিক্ষা ক্যাডার সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৪৩ বছর পেরিয়ে গেলেও বিশেষায়িত ক্যাডার হিসেবে গড়ে তোলা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প- ২০৪১ বাস্তবায়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা ব্যবস্থাপনার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। তাই শিক্ষায় জাতীয় লক্ষ্য অর্জনে উপজেলা, জেলা, অঞ্চলে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট দপ্তর, অধিদপ্তর ও প্রকল্পসমূহ পরিচালনায় শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।এছাড়া শিক্ষা ক্যাডারের ১৬ হাজার কর্মকর্তা বর্তমান সরকারের ভিশন- ২০৪১ তথা স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তারা ন্যায্যা অধিকার এবং সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কোনো কারণ ছাড়াই তাদের পদোন্নতি বিগত দুই বছর ধরে বন্ধ। শিক্ষা ক্যাডারে পদোন্নতি যোগ্য কর্মকর্তার সংখ্যা সাত হাজারেরও বেশি। এর মধ্যে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি যোগ্য কর্মকর্তা সংখ্যা ১ হাজার ২০০, সহযোগী অধ্যাপক পদে ৩ হাজার এবং সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি যোগ্য কর্মকর্তার সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার জন। ২০১৫ সালে নতুন পে স্কেল এ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫- তে অধ্যাপকদের তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনা হলে তিনি তৎকালীন অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি ও মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে আরও একটি কমিটি গঠন করে দ্রুত নতুন পে স্কেল প্রদানের মাধ্যমে বিরাজমান সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন। ওই কমিটিগুলোর সুপারিশে শিক্ষা ক্যাডারের অধ্যাপক পদ মর্যাদা সম্পন্ন পদ সমূহের মধ্যে ৪২৯টি পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হলেও রহস্যজনক কারণে মাত্র ৯৮টি পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীত করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয়। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপেক্ষিত হয়। তাই  ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃজন, বেতন স্কেল  আপগ্রেডেশন ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবি আদায়ে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি আগামী ২ অক্টোবর দেশের সব সরকারি কলেজ ও সরকারি মাদরাসাসহ সব দপ্তর, অধিদপ্তরে দিনব্যাপী কর্ম বিরতি পালন করবে। এতেও দাবি পূরণ না হলে আগামী ১০ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন কর্ম বিরতি পালন করা হবে। 

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ হুমায়ুন করিব, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, প্রফেসর মুনাব্বির হোসেন ও আবদুল মান্নান প্রমুখ। 

আরও পড়ুন