রংপুরের মিঠাপুকুরে নিজ ঘরের মেঝে থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ফাতেমা বেগম নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জমি নিয়ে বিরোধে তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের। এ ঘটনায় নিহতের ভাই থানায় হত্যা মামলা করেছেন। ফাতেমা বেগম উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের ধাপ শ্যামপুর বটেরচড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য গোলজার হোসেনের স্ত্রী।

মামলা থেকে জানা যায়, ১৩ শতক জমি নিয়ে ভাতিজা আবদুল মজিদ ও বাতেন মিয়ার সঙ্গে গোলজার হোসেনের বিরোধ চলছিল। বুধবার দুপুরে জমির দখল নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন লাঠিসোটা দিয়ে গোলজার ও তাঁর স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রাতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফেরেন ফাতেমা বেগম। ভোরে মজিদ ও বাতেন মিয়ার লোকজন তাঁদের শোবার ঘরে ঢুকে ফাতেমা বেগমকে ফের মারধর করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই শাহ্ মো. বাহলুল ইসলাম বাদী হয়ে আবদুল মজিদ, বাতেনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

নিহত ফাতেমা বেগমের জামাতা আতাউর রহমান বলেন, প্রতিদিন ভোরে আমার স্ত্রী তামান্না মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলত। বৃহস্পতিবারও সে কল দিয়েছিল। কিন্তু কেউ রিসিভ না করায় আমার বাবা শাহ্ জামাল মিন্টুকে ওই বাড়িতে পাঠাই। তিনি বাড়ির প্রাচীর টপকে আঙিনায় ঢুকে জানালা দিয়ে দেখেন আমার শাশুড়ি মেঝেতে পড়ে আছেন।

মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।