সুন্দরবনে হরিণ শিকারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বনসংলগ্ন এলাকায় গোপনে বিক্রি হচ্ছে হরিণের মাংস। এ অবস্থায় বনে শিকার বন্ধ এবং শিকারিদের ধরতে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে বন বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার অভিযানের প্রথম দিনে হরিণের রান্না করা মাংস ও শিকারের ফাঁদসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের তালিকা অনুযায়ী, সুন্দরবনে হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত অন্তত ৪০ জন। তাদের মধ্যে ১৫-২০ জন সম্প্রতি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা প্রতিনিয়ত বনে গিয়ে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকারের পর সেগুলো জবাই করে লোকালয়ে এসে ৫০০-৬০০ টাকা কেজি দরে মাংস বিক্রি করছে। তাদের বিরুদ্ধে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসীন হোসেন। 

বন বিভাগ জানায়, গতকাল ভোরে বন বিভাগের সুন্দরবনের কোবাদক স্টেশনের বিশেষ দল সাপখালী ভারানী খাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ হরিণ শিকারিকে আটক করে। তাদের কাছ থেকে তিনটি ডিঙ্গি নৌকা, প্রায় ৩০০ গ্রাম রান্না করা হরিণের মাংস, পলিথিন ব্যাগে মোড়ানো হরিণের চারটি পা ও একটি মাথা, দুটি দা, একটি কুড়াল, একটি ছুরি এবং হরিণ ধরার ২০০ মিটার ফাঁদ উদ্ধার করা হয়। আটক ২ জন হলেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পার্শ্বেমারী গ্রামের মজিবর গাজী ও মো. ময়নুদ্দিন। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযান টের পেয়ে একই গ্রামের ইমদাদুল সরদার, সাহেব আলী, শফিকুল শেখ ও নুরুল আমিন পালিয়ে গেছেন। 

কয়রা থানার ওসি এ বি এম এস দোহা বলেন, বন বিভাগের পাশাপাশি পুলিশও অভিযান চালাচ্ছে।