ফরিদপুরে সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে এক ইন্টারনেট ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। নিহতের বাবা অভিযোগ করেছেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতির নেতৃত্বে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসী।

নিহত সবুজ মোল্লা (৩৫) শহরের বায়তুল আমান এলাকার শহীদ মোল্লার বড় ছেলে। সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুরের বিএসএমএমসি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

বিএসএমএমসি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মিজান জানান, রাত ১১টার দিকে সবুজকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ধারালো কোপের আঘাতে তাঁর বাম হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এ ছাড়া তাঁর মাথা, ডান হাতসহ পুরো শরীরে ধারালো কোপের চিহ্ন ছিল। 

তিনি জানান, সবুজকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকা পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল। এরই মাঝে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়। 

নিহত সবুজ মোল্লা (৩৫) শহরের বায়তুল আমান এলাকার শহীদ মোল্লার বড় ছেলে।

কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল জলিল জানান, সোমবার রাতে বায়তুল আমান এলাকায় সন্ত্রাসীরা সবুজকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে যায়। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। জড়িতদের ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সবুজের বাবা শহীদ মোল্লা অভিযোগ করেন, ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আদনান হোসেন অনুর নেতৃত্বে মিরান, জিকুসহ ৭-৮ জন সন্ত্রাসী সবুজকে কুপিয়ে এবং হাত কেটে রাস্তার ওপর ফেলে রেখে যায়। তিনি হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করেন।

আদনানের বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। মাদকসহ একাধিক মামলায় তিনি জেলও খেটেছেন। তবে শহীদ মোল্লার অভিযোগের ব্যাপারে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

বিক্ষোভ মিছিল: সবুজ হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে বিক্ষোভ করেছেন নিহতের স্বজন ও স্থানীয় এলাকাবাসী। বিক্ষোভ মিছিলটি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে শুরু এবং বায়তুল আমান রোড অফিস হয়ে রেলস্টেশনে গিয়ে শেষ হয়।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, ফরিদপুর ২৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আব্দুল হক, আলিয়াবাদ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মুন্সী মো. তোফাজ্জেল হোসেন, আরশাদ শেখ, হবি মোল্যা প্রমুখ।