- সারাদেশ
- ত্রাণ নিয়ে থামলেই ছুটে আসছে ছোট ছোট নৌকা
ত্রাণ নিয়ে থামলেই ছুটে আসছে ছোট ছোট নৌকা
ত্রাণের বাহন থামলেই বিশৃঙ্খলা, ছুটে আসছে ছোট ছোট নৌকাত্রাণের বাহন থামলেই বিশৃঙ্খলা, ছুটে আসছে ছোট ছোট নৌকা #সিলেট #সুনামগঞ্জ #বন্যা
Posted by Samakal on Wednesday, June 22, 2022
সিলেট অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষ। তাতে চারদিকে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের জন্য তৈরি হয়েছে তীব্র হাহাকার। এমন অবস্থায় বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এসব সংগঠনের ত্রাণবাহী নৌকা বন্যাদুর্গত এলাকায় পৌঁছাতেই ছুটে আসছে ছোট ছোট অসংখ্য নৌকা। যাদের নৌকার সংকুলান নেই তারা কোনো উপায় না পেয়ে সাঁতরে আসছেন একটু সাহায্যের আশায়।
বুধবার একটি ত্রাণবাহী নৌকার সঙ্গে সুনামগঞ্জ থেকে তাহিরপুর যান এই প্রতিবেদক। যাওয়ার পথে মনিরামপুর এলাকায় পানিবন্দী কয়েকটি পরিবারকে ত্রাণ দিতে গিয়ে ছোট নৌকার কবলে পরে ত্রাণবাহী নৌকাটি। ছোট নৌকায় ছুটে আসা বন্যার্তরা জানান, সবাই ত্রাণ নিয়ে যায় কিন্তু আমাদের দেয় না।
সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ দিতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মো. শাকিল মিয়া সমকালকে জানান, ত্রাণ নিয়ে তাদের নৌকাটি মনিরামপুরে থামার সঙ্গে সঙ্গে চারপাশ থেকে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১৫/২০ টির মতো নৌকা তাদের ঘিরে ফেলে। তখন বাধ্য হয়েই সবাইকে প্যাকেট দিতে হয়। অনেক জায়গায়ই তাদের এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
ত্রাণ নিয়ে সুনামগঞ্জে আসা সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা জানান, নৌকা নিয়ে নৌপথের পাশাপাশি ট্রাকে করে ত্রাণ বিতরণ করতে গিয়েও বিরূপ অভিজ্ঞতা হয়েছে। যথেষ্ট লোকবল না থাকলে পদে পদে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান তারা।
সিলেটের বন্যাদুর্গতদের নানাভাবে সাহায্য করে আলোচনায় আসা চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারাজ করিম চৌধুরী ফেসবুকে এক স্টাটাস দিয়েছেন। তিনি জানান, সুনামগঞ্জের যেসব প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখনো ত্রাণ পৌঁছায়নি, যেখানে একসাথে ৪/৫ হাজার মানুষ বসবাস করে, সেসব স্থানে কমপক্ষে ৫০/১০০ জনের স্বেচ্ছাসেবী টিম ছাড়া আপনারা যাবেন না। কারণ যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। মানুষের পেটে ক্ষুধা থাকলে স্বাভাবিকভাবেই উশৃঙ্খল হয়ে ওঠে।
এদিকে গত দুদিন বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। শহরাঞ্চলে পানি নেই বললেই চলে। তবে খুবই ধীরে ধীরে পানি নামতে থাকায় মানুষের দুর্ভোগ আরও দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আর বন্যাকবলিত প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী না পৌঁছায় গরিব-অসহায় মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগব্যধিও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মন্তব্য করুন