সন্‌জীদা খাতুন। বাঙালি সংস্কৃতির নিরলস পথিকৃৎ অভিযাত্রী। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সমকালের সঙ্গে কথোপকথনে তিনি তুলে ধরেছেন তার দীর্ঘ পথযাত্রার অভিজ্ঞান। খোলাখুলি বলেছেন বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অর্জন ও অভিযাত্রার সংকট, বিচ্ছিন্নতা ও প্রাপ্তির কথা। মনে করিয়ে দিয়েছেন, নানা অর্জন সত্ত্বেও বাংলার সংস্কৃতিচর্চা ভীষণ বিরোধিতা ও বিদ্বেষের মুখোমুখি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ইমতিয়ার শামীম

স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য যে জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দানা বেঁধে উঠেছিল, তার পরিপূরক সাংস্কৃতিক আন্দোলনের যারা পথিকৃৎ, আপনি তাদের অন্যতম। তো আপনি যখন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর আত্মসমর্পণের ঘোষণাটা জানতে পারলেন, সেই মুহূর্তে কোথায় ছিলেন, আপনার প্রতিক্রিয়া কী হয়েছিল?
সন্‌জীদা খাতুন :
আমি তখন রান্না করছিলাম। তখন তো আমারও শরণার্থী জীবন। শান্তিনিকেতনে ছিলাম। হঠাৎ একজন চেঁচিয়ে বলল, স্বাধীন হয়ে গেছে- জয় বাংলা হয়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি হু হু করে কেঁদে উঠেছিলাম। কেন যে কেঁদেছিলাম! পরে ভেবে দেখেছি, শরণার্থী জীবনে তো স্বাভাবিকভাবেই নানারকম হেনস্তা হতে হয় মানুষকে, সমস্ত সময়টার বেদনা একসঙ্গে যেন আমাকে চেপে ধরল। তার জন্যই সম্ভবত আমি কেঁদে উঠেছিলাম। তাছাড়া খবরটা আনন্দের বটে- কিন্তু সে আনন্দের মধ্যে অনেক কান্না ছিল। এ জন্য কেঁদেছিলাম- পরে ভেবে দেখেছি। তখন আশপাশের লোকজন তো এসে বলছে, সন্‌জীদা দি, খাওয়াতে হবে ... শুনে তো ভয় পেয়ে যাচ্ছি। কারণ তখন তো সামান্য ৫০০ টাকা পেতাম বিশ্বভারতী থেকে, সেই টাকায় সংসার চলে, রান্না-খাওয়া, কাপড়চোপড় সব ব্যবস্থা করতে হয়। শেষে বুদ্ধি বার করলাম, কী করব। পোলাওয়ের চাল কিনে, গোবিন্দভোগ বলে ওখানে, ভিজিয়ে একটু গুঁড়ো করে নিয়ে, সেটার ভাত রানলাম। একে তো চালটা আলো চাল, গলে যায় চট করে, তার মধ্যে গুঁড়া করা- খুব সাবধানে কোনো রকমে ভাঁপ দিয়ে সিদ্ধ করে তাতে একটু জর্দার রং মিশালাম, চিনি দিলাম। দিয়ে খুব ছোট ছোট গোল গোল করে গুলি পাকালাম। এভাবে মিষ্টান্ন তৈরি করে রেখেছিলাম। যদিও শেষ পর্যন্ত কেউ আসেনি। আমার বড় মেয়ে খুব মিষ্টি ভালোবাসত, ওরই পেটে সব গিয়েছিল। (হাসি)

তখন আপনার কি মনে হয়েছিল, জাতি এই যে ভৌগোলিক স্বাধীনতা অর্জন করল, তার মধ্য দিয়ে আমাদের কোনো উত্তরণ ঘটল?
সন্‌জীদা খাতুন :
এখানে আমাকে একটা কথা বলতে হবে, কখনও বলিনি, আজকে বলি। শান্তিনিকেতনে থাকতেই, ১০ জানুয়ারির বক্তৃতা শুনেছিলাম। খুব কষ্ট হয়েছিল। এত যুদ্ধ, এত রক্তক্ষয়, এত সম্মানহানি, এত ঘটনার পরে বাংলাদেশকে যদি 'মুসলিম দেশ' বলে উলেল্গখ করা হয়, তাহলে আমরা কী আর অর্জন করলাম? এটা আমাকে ভীষণ আঘাত করেছিল। আমার প্রফেসর প্রবোধ চন্দ্র সেন, তার কাছে গেলাম। উনি জিজ্ঞেস করলেন, কেমন শুনলে, কী হলো? আমি বললাম, হলো না, যা আশা করেছিলাম, তা হলো না। এখনও যদি বলা হয়, এটা একটা মুসলিম রাষ্ট্র, তা হলে ভবিষ্যতের ভয় থেকে যায়।
তার মানে দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র এক মাসের মধ্যেই আপনার প্রত্যাশা ভঙ্গ হয়েছিল?
সন্‌জীদা খাতুন :
হ্যাঁ, প্রত্যাশা ভঙ্গ হয়েছিল- আশা ভঙ্গ হয়েছিল। কিন্তু যে কাজ শুরু করেছি, সে কাজের মধ্যে তো থাকতেই হবে আমাকে। দেশে ফিরে এলাম। নানা কিছু ঘটতে লাগল। সবচেয়ে বড় জিনিস- দেয়ালে দেয়ালে দেখলাম ভারতবিরোধী কথাবার্তা লেখা। লেখা ছিল- ভারতকে 'দুশমন' তো বলা হয়েছেই- বলা হয়েছে, 'আমরা এখন ফিরে যাচ্ছি, কিন্তু আমরা ফিরে আসব'। এই লেখা দেখে আমার বুকের ভেতর কেঁপে উঠেছিল। এ খবরটা অবশ্য পেয়েছিলাম আগেই। হাসান ইমাম দেশ থেকে কলকাতা গিয়ে এই কাহিনি বলেছিল।
মানে এটা রাজাকার-আলবদররা লিখেছিল?
সন্‌জীদা খাতুন :
হ্যাঁ, 'আবার ফিরে আসব'- এই কথাটার মধ্যে যে সত্য আছে, সেইটা আমি অনুভব করেছিলাম। এবং তারপর থেকে তো দেখেছি, হয়েছেও তো তাই। আমাদের দিক থেকে, সরকারের দিক থেকে কোথাও কোনরকমের প্রচার ছিল না। সাংস্কৃতিক মুক্তিটা আমাদের ঘটেছে, আমরা মনে করেছিলাম; কিন্তু সংস্কৃতি সম্পর্কে কোনো সচেতনতা স্বাধীনতা-পরবর্তী কোনো সরকারের মধ্যে লক্ষ্য করলাম না। একমাত্র বঙ্গবন্ধু 'বাঙালি' 'বাঙালি' বলতেন। আমি অন্য কাউকে 'বাঙালি' 'বাঙালি' বলতে শুনিনি। আমাদের কিছু করার ছিল না। আমরা তো প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেতে পারিনি। আমাদের তো অর্থ ছিল না। আমরা তো শহরকেন্দ্রিক। কাজেই আমরা কিচ্ছু করতে পারিনি, কোনো প্রতিরোধ দিতে পারিনি। না সরকারিভাবে, না সাংস্কৃতিকভাবে।
কোনো বেসরকারি বা বিরোধী রাজনৈতিক দল-
সন্‌জীদা খাতুন :
না, কাউকেই আমরা বাঙালি সংস্কৃতির পক্ষের লোক বলে দেখিনি; এবং সেই বাঙালি সংস্কৃতি যে একটা প্রচারের ব্যাপার আছে, প্রসারণের ব্যাপার আছে, তার কোনো রকম লক্ষণ দেখতে পাইনি।
মানে সামাজিক জীবনে এর কোনো প্রতিফলন ঘটেনি?
সন্‌জীদা খাতুন :
সামাজিক জীবনে, যেমন ছায়ানটে বলব, প্রচুর ভর্তি হলো। আমরা ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হলাম অনেককে। জায়গা কোথায়? তবে যে ক'জন আসে, তার বাইরে তো বহু লোক আছে। ক'জন আসে ছায়ানটে? ছায়ানট তো ছোট একটা গোষ্ঠী। সমস্ত দেশের মধ্যে আমরা তো মাইনরিটি (সংখ্যালঘু)। মাইনরিটি তো আমরা, যারা বাঙালি সংস্কৃতির কথা বলি। রবীন্দ্রনাথ তো বলেই গিয়েছিলেন যে, ইংরেজকে তাড়িয়ে দিলে তার পরে যারা আসবে, তারা এদেশি। এবং এদেশিরাই তখন মাথার ওপর চড়ে বসবে।
তার মানে সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতাও মাঝে মাঝে আক্রান্ত করে?
সন্‌জীদা খাতুন :
বিচ্ছিন্নতার বোধ হয় তো। দেশের সংস্কৃতিটা দেশের মানুষের থেকে আলাদা হয়ে গেছে। এই সংস্কৃতিতে অধিকাংশই বিশ্বাসী নয়। ব্যান্ডসংগীত হোক, ফিউশন মিউজিক হোক, সেগুলোর দিকেই সবার আগ্রহ।
বাঙালি সংস্কৃতির পাশাপাশি এদেশে তো জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আরও সংস্কৃতি আছে। বা ধর্মীয় দিক থেকেও যদি ধরা যায়, হিন্দু-মুসলমানের, বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর, আলাদা কিছু সাংস্কৃতিক পরিসর থাকে। বাঙালি সংস্কৃতির মধ্যে এর সমন্বয়ের পরিসর কতটুকু? বা এইটা আবার কোনো বিচ্ছিন্নতার জন্ম কি দেয় না?
সন্‌জীদা খাতুন :
আমি যা দেখি, এখানে যারা হিন্দু, তারা মনে করে সাংস্কৃতিকভাবে তারা শ্রেষ্ঠ; মনে করে, তারা ভারতেরই সংস্কৃতির অনুসারী। এখন ব্যাপার হলো, আমরা তো ভারত আর বাংলাদেশ হিসেবে আলাদা করিনি। উপমহাদেশের সংস্কৃতিটাকেই আমাদের সংস্কৃতি বলে জেনেছি। এ দেশে যারা ধর্ম নিয়ে কথা বলে, তারা মনে করে, বাঙালিত্বের মধ্যে আছে হিন্দুত্ব।
আবার মুসলমান বাঙালি, বাঙালি মুসলমান, এসব ব্যাপারও আছে...
সন্‌জীদা খাতুন :
বাঙালি মুসলমান কথাটা তো একদিক থেকে ঠিকই আছে। আমাদের তো পাকিস্তানি মুসলমান বানানোর চেষ্টা হয়েছিল, আমরা তো সেটা হইনি। হতে চাইনি। আমরা বলতে আমাদের সেই মাইনরিটি গোষ্ঠী। আমরা চেয়েছি বাঙালি মুসলমানই হতে। এটাতে আমি কোনো দোষ দেখি না। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা মনে করেন, বাঙালি হওয়া মানে হিন্দু হওয়া। দু'দিক থেকেই কীরকম অদ্ভুত রকমের বিচ্ছিন্নতা। এবং এটি একটি বড় সংকট। আমরা নিজেরাই সচেতন না। অনেক সময় চেষ্টা করেছি, বলেছি অনেককে যে, চলো যাই। নজরুলের যে কবিতা আছে, হযরতকে নিয়ে, তুমি তো আমাদেরকে বলোনি, যে প্রতিবেশীকে মারো, বলোনি যে ধর্মের স্থান চূর্ণ করো, আমরা এ কী করলাম? সেই যে কবিতা আছে, 'ক্ষমা করো হযরত' বলে; বলেছি যে, এইসব কবিতা শোনানো দরকার মানুষকে।
কিন্তু আপনারা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন বলেই, যেমন বাংলা নববর্ষ উদযাপন, এটা এ দেশের মানুষের বড় একটা উৎসবে পরিণত হয়েছে। অর্থনৈতিকভাবেই হোক বা সামাজিকভাবেই হোক- বাংলা নববর্ষের একটা গ্রহণযোগ্যতা, বহুমাত্রিক দিক তৈরি হয়ে গেছে। কিন্তু, সাংস্কৃতিকভাবে তা কতটুকু হয়েছে?
সন্‌জীদা খাতুন :
হ্যাঁ, এইটা একটা ব্যাপার। কিন্তু এর বিরোধিতাও শুরু হয়েছে। সে বিরোধিতা তো ২০০১ সালে প্রকাশ্য, বোমা তো ফাটল আমাদের ওখানে। আমার খুব ভালো লাগে দেখতে, খুব সাধারণ ঘরের একজন মানুষ, তারা দিব্যি বৌকে একখানা পরিষ্কার শাড়ি পরিয়ে, বাচ্চাদেরকে মোটামুটি ভালো জামাকাপড় পরিয়ে, নতুন বলছি না- নিজেরা পাঞ্জাবি পরে পথে বেরোয়। পারিবারিকভাবে, সামাজিকভাবে এই যে বেরোনোটা- খুব ভালো লাগে। সেটা একটা মস্ত বড় অর্জনের জায়গা, তাতে কোনো সন্দেহ নেই, ঠিকই। কিন্তু এটুকু দিয়ে কতটুকু হচ্ছে?
পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন জায়গায় যে আক্রমণ, সেগুলোও তো খুবই উদ্বেগের ব্যাপার-
সন্‌জীদা খাতুন :
সব সময় হুমকির মধ্যেই আছি আমরা। মানে এত মেজরিটি হয়ে গেল, দেশে এত মানুষ বেড়ে গেল, তাও তো আমরা মাইনরিটি রয়ে যাচ্ছি। আমার দুঃখের কোনো অন্ত নেই। এবং এখন ভাবি, জীবন তো শেষ হয়ে এলো। কিছু আর দেখে যেতে পারব না। ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আমি খুব সন্দিহান।
কিন্তু অনেকেই মনে করেন, বিশেষত গত তিন দফায় মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি রাষ্ট্রক্ষমতায় আছে-
সন্‌জীদা খাতুন :
সেটা এক ধরনের ব্যাপার। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি বলতে কী বোঝায়? তাদের সংস্কৃতিটা কী? এ কথা তো আমাকে ভাবতে হবে। তারা কি বাঙালি সংস্কৃতি বোঝে? নাকি বোঝে যে, বাইরে থেকে একজন নেতা যখন দেশে ফিরবেন তখন ইংরেজি গানের মতো অদ্ভুত অদ্ভুত সব গান বাজিয়ে পথের মাঝখানে নাচতে হবে? দেখি তো সব। কিছু কিছু হচ্ছে- এখন ব্যাপার হলো, সেটা কতটুকু স্বতঃস্ম্ফূর্তভাবে হচ্ছে, কতটা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোও তো ভাববার বিষয়। বিজয়গুলো কী রকম হচ্ছে? সত্যিকারের বিজয় তো? না বানিয়ে তোলা?
আপনি তো এসবের পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ, নজরুল এবং জসীমউদ্‌দীন নিয়েও কাজ করেছেন?
সন্‌জীদা খাতুন :
কারণ আমি তো সত্যিকারের বাঙালি। আমি বাঙালিত্বের ভক্ত। জসীমউদ্‌দীন আমার প্রিয়, নজরুলও আমার প্রিয় এবং সেটা আমাকে প্রমাণ করতে হয়েছে বই লিখে। নজরুলের গানও তো আমি গেয়েছি এক সময়ে। আমাদের নজরুলসংগীত বিভাগ অত্যন্ত সমৃদ্ধ বিভাগ। ছায়ানটে পল্লীগীতি, লোকগীতির বিভাগও খুব সমৃদ্ধ। কিন্তু বাইরের অনেকের ধারণা, এটা রবীন্দ্রসংগীতের প্রতিষ্ঠান। এখানে যে লালনের গান, হাছনের গান, কত রকমের গান যে হচ্ছে, এই যে কাঙাল হরিনাথের গান- ফিকিরচাঁদ- সেগুলোর ক্যাসেট বেরোচ্ছে, সংরক্ষণ করা হচ্ছে আমাদের আর্কাইভে, কে খবর রাখে? ভীষণ বিরোধিতা একটা আছে, বিদ্বেষ একটা আছে আমাদের বিষয়ে।
বাংলাদেশ যত ছোট রাষ্ট্রই হোক, বাঙালি ছাড়াও বিভিন্ন জনগোষ্ঠী আছে, আদিবাসীরা আছে। তাদের ক্ষেত্রে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী? মূল্যায়ন কী?
সন্‌জীদা খাতুন :
তাদের ব্যাপারে আমার যেটা বক্তব্য- তাদেরকে তাদের মতো চলতে দেওয়া উচিত।
মানে বহু সংস্কৃতি চর্চার একটা ব্যাপারও থাকে আমাদের?
সন্‌জীদা খাতুন :
হ্যাঁ, থাকে। এবং যারা চাকমা তাদেরকে যে ঘর পুড়িয়ে শেষ করে দিতে হবে, তার তো কোনো মানে নেই। এগুলো যা হচ্ছে, তা তো ভয়াবহ। আমার নাতনি গিয়েছিল, ছবি তুলে নিয়ে এসেছিল, আমাকে দেখিয়েছিল, কী অবস্থা! এটা তো ওদেরকে নিঃশেষ করার একটা প্রক্রিয়া।
সামনের দিনগুলোতে আমাদের জন্য কি নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে? বর্তমান বা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী?
সন্‌জীদা খাতুন :
আমি কিন্তু দেখেছি, নতুন যারা আসছে উঠে, রবীন্দ্রনাথ, সংস্কৃতি তাদের অনেকেই অনেকটা বোঝে, অনেকটা তারা নিতে পারে। তবে নির্ভর করে অনেকটা শিক্ষকদের ওপরে। যদি ওই নতুন ছেলেমেয়েরা দাঁড়াতে পারে, চ্যালেঞ্জগুলোও তারা বুঝতে পারবে। আমার যেটুকু কাজ করা সম্ভব, এই যে রবীন্দ্রসংগীতের শিক্ষকরা এসে গানগুলো ঠিকমতো হচ্ছে কিনা বুঝে নিচ্ছে, আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি গানের অর্থ, এই যে কাজগুলো করছি, এগুলোর একটা অন্য মূল্য আছে। এই যে কাজটা করতে পারছি এখনও, এটা আমার কাছে অনেক বড়।
এতকিছুর মধ্যেও সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সন্‌জীদা খাতুন :
আপনাদেরও ধন্যবাদ।