ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

রোজায় তিনদিনব্যাপী ছুটি কাটাবেন যেভাবে

রোজায় তিনদিনব্যাপী ছুটি কাটাবেন যেভাবে

<span style="font-size: 12px !important">Sponsored content</span>

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২২ | ০০:৪৮ | আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২২ | ২৩:৪৩

দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেলো পবিত্র রমজান মাসের প্রথম সপ্তাহ। বিশেষ এই মাসটি পারিবারিক বন্ধনগুলো অটুট করে, মজবুত হয় পারস্পারিক সম্পর্ক। কিন্তু ব্যস্ততা এবং যানজটের মাঝে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো তো দূরের কথা, অনেকের ইফতারটাও করতে হচ্ছে পথে ঘাটে ট্রাফিক জ্যামে বসে। তবে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই, সামনেই আসছে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য বেশ বড় একটা সুযোগ। কয়েকদিনের মাঝেই পেয়ে যাবেন পহেলা বৈশাখ সহ তিন দিনের লম্বা ছুটি। এই সুন্দর ছুটিটা কীভাবে পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন, তার জন্য স্মার্ট কিছু টিপস রয়েছে।

বাসায় বসে ইফতার করাটা একঘেয়ে লাগলে একটু ভিন্নভাবে ইফতার করতে অনেকেই রেস্টুরেন্টে যেতে চান। কিন্তু জ্যামের কারণে রেস্টুরেন্টে যাওয়াটাও একটা ঝামেলার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অভিনব আরেকটা পন্থা সাম্প্রতিককালে জনপ্রিয় হয়েছে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য। সেটা হলো ঢাকার আশেপাশের রিসোর্টগুলোতে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসা। সামনে যেহেতু ৩ দিনের ছুটি আছেই, এইটাই সময় দুই একটা দিন পরিবারের সঙ্গে ঢাকার আশেপাশের কোনো রিসোর্টে ঘুরে আসার। অল্প সময় হাতে নিয়ে যাওয়ার তুলনায়, একদিন বেশি হাতে থাকলে ভ্রমণটাও হবে আরামদায়ক। ছুটির মাঝেই পড়ছে নববর্ষ। পান্তা ইলিশ খাওয়ার ঐতিহ্য বজায় রাখার জন্যও ঘুরে আসা যায় দূরে কোথাও। কী ধরনের রিসোর্টে যাবেন, পরিবারের সবার তা পছন্দ হয় কি না, সেখানে কী ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে- আগে থেকেই খোঁজ নিয়ে রাখা ভালো। অনেকসময়ই মুখের কথা শুনে অনেক আশা নিয়ে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় ছুটি কাটাতে গেলেও, আসল রূপ দেখে হতাশ হতে হয়। তাই আগে থেকে বুঝে শুনে যাওয়াই ভালো। তাছাড়া বাড়তি চাহিদার মুখে দামগুলো সদাই পরিবর্তনশীল। ন্যায্য দাম যাচাই বাছাই না করে গেলে বেশ বিপদ। তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখা প্রয়োজন।

অনেক রিসোর্টেই এখন রমজান মাস উপলক্ষে বিশেষ সেহরি এবং ইফতার অফার আছে। অফারসহ ঘুরতে পারলে খরচটাও একটু কমে আসে। এমনি কিছু রিসোর্ট খুঁজতে দেখে নিতে পারেন গোযায়ান। তাদের প্লাটফর্মে ছবিসহ ঢাকার আশেপাশের অনেকগুলো রিসোর্টই আছে। সঙ্গে আছে পূর্ণ দামের হিসাব এবং সুযোগ সুবিধার তালিকাও। পুরো পরিবারের সঙ্গে বসে পছন্দ করে নিতে পারবেন আপনাদের জন্য সেরা অপশন। এভাবে ছোট বড় সবাই খুশিও থাকবে এবং পরিকল্পনাটাও হবে মন মতো। পরিবারের সঙ্গে একটু বাড়তি সময় কাটানোর এইটাই সেরা সুযোগ।

ছুটি যেহেতু একদিন বাড়তি, তাই পরিকল্পনাও করা যাবে একটু বেশি বেশি। ঘুরতে যাওয়ার অপশনেরও এখন অভাব নেই। ঢাকার আশেপাশে না যেতে চাইলে, দেখে নিতেপারেন একটু দূরের গন্তব্যগুলো। সিলেট কিংবা কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য এখন খুবই ভালো মৌসুম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলে ঘুরে আসতে পারেন চায়ের রাজ্য সিলেটে। চা বাগান ছাড়াও আছে নীল পানিতে টলমল লালাখাল, পাহাড়ে ঘেরা বিছানাকান্দি অথবা নৌকায় বসে শান্তির একটি দিন কাটানোর জন্য টাঙ্গুয়ার হাওড়। তাছাড়াও আছে ম্যানগ্রোভ গাছের শিকড়ে ঘেরা রহস্যময় রাতারগুল, সাদা পাথরের সাজানো জাফলং, ৪৬০ প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও গাছ সমৃদ্ধ লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক ইত্যাদি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ চায়ের রাজ্যে এখন আছে আধুনিক বেশ কিছু থাকার ব্যবস্থাও। নাজিমগড় রিসোর্ট, দ্যি প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট, দুসাই রিসোর্ট ইত্যাদি অভিজাত কিছু অপশনও এখন দেখা যায় সিলেট ঘুরতে গেলে। এক্ষেত্রে রিসোর্টের ভিতরেই এতো অ্যাক্টিভিটি এবং সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় যে বাইরে ঘুরার প্রয়োজনও পড়েনা। আরামদায়ক একটা ছুটি কাটিয়ে আসার জন্য পরিবারের সাথে এই অপশনগুলোও দেখে নিতে পারেন।

এবার আসি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য- কক্সবাজারের কথায়। যেহেতু ছুটিটা বড়, অনেকেই ভিড় করবে জনপ্রিয় এই গন্তব্যে দিনগুলো কাটিয়ে আসার জন্য। তবে কক্সবাজারে এখন শুধুমাত্র সমুদ্র সৈকত দেখা ছাড়াও আছে অনেকরকমের অ্যাক্টিভিটি। ফানফেস্ট বীচে প্যারাসেইলিং করে পাখির চোখে দেখে নিতে পারেন পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। উড়ার আরও ইচ্ছা থাকলে আছে বিশ্বব্যাপী বিখ্যাত ‘ফ্লাই ডাইনিং’ রেস্টুরেন্ট, আকাশে উড়ে উড়ে বিশ্বমানের খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা আছে যেখানে। রেজুখালে কায়াকিং করে কিংবা অ্যাকুয়াহোলিক ট্যুরিস্ট ক্যারাভানে আনন্দের সাথে কাটিয়ে দিতে পারবেন একটি দিন। বীচের ভিড় এড়িয়ে একটু ভিন্ন ভাবে কক্সবাজারকে চিনতে চাইলে দেখে নিতে পারেন রোমাঞ্চকর এই অ্যাক্টিভিটিগুলো।

তিন দিনের ছুটিটা বেশি উপভোগ করতে পারবেন যদি রাস্তায় সময়টা কম নষ্ট হয়। তাই এই ছুটির জন্য সিলেট হোক বা কক্সবাজার, ফ্লাইটে যাওয়াই সেরা অপশন। অল্প সময়ের মাঝে পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে এবং আরামে উপভোগ করতে পারবেন আপনার ট্যুরের বাকি পরিকল্পনাগুলো। তবে আলাদা আলাদা করে ফ্লাইট বা বাস, হোটেল, ট্যুর সব বুকিং দেওয়া এই ব্যস্ততার মাঝে অসম্ভব প্রায়। এই সমস্যার সমাধান করতে সবকিছু একই জায়গায় পেয়ে যেতে পারেন গোযায়ান-এ। তাছাড়া এই প্লাটফর্মে আছে অনেকগুলো পেমেন্ট অপশন এবং প্রতিটি পেমেন্ট অপশনের উপরই আছে আলাদা আলাদা অফার। তাই পছন্দসই দামেই পরিকল্পনা করে ফেলতে পারেন আপনার স্বপ্নের ট্যুরটি। পরিবারের সঙ্গে কাটানো এই সুন্দর সময়টাতে যেন কোনো ঘাটতি না থাকে তা নিশ্চিত করতেই আগে থেকে প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন।

তিন দিনের এই ছুটিটা পরিবারের সঙ্গে একান্ত নিকটে কাটানোর জন্য সেরা সময়। রোজার আমেজে আসতে এখনই পরিকল্পনা করে ফেলুন কিভাবে কাটাবেন প্রিয়জনদের সাথে মূল্যবান মুহূর্তগুলো। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

আরও পড়ুন

×