প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২০
চাঁদের আলো
চাঁদের বাড়ি চাঁদ থাকে না
দিনের বেলা রোদ মাখে না
চাঁদ গেল কই জানতে চাই
নাকি চাঁদের বাড়ি নাই?
রোদ-মাড়িয়ে তাড়াতাড়ি
আমি গেলাম চাঁদের বাড়ি
চাঁদ চলে যায় বাড়ি ছাড়ি
রেখে গেছে বিয়ের শাড়ি
আ হ মে দ সা ব্বি র
পাখির ছড়া
গাছের ডালে ডাকছে পাখি
বলছে, এসো সুস্থ থাকি
থাকবে ঘরে এই ক'টা দিন
তারপরে তো মুক্ত স্বাধীন
উড়বে তুমি, ময়না টিয়ে
হাত ধোবে রোজ সাবান দিয়ে
লাগলে হাঁচি কিংবা কাশি
মুখ লুকিয়ে বলবে আসি
রাখবে টিস্যু হাতের কাছে
সতর্কতায় জীবন বাঁচে
বাসায় বসে করবে পড়া
আঁকবে ছবি লিখবে ছড়া
সঙ্গ দেবে বাবা মা'কে
ঘষবে না হাত মুখে নাকে
তোমরা মানুষ আমরা পাখি
একটু না হয় দূরেই থাকি
সবাই সবার জন্য
বন্ধু এসো পণ করি আজ
থকব পরিচ্ছন্ন।
গো লা ম ন বী পা ন্না
উড়ূ উড়ূ ফড়িং
উড়ূ উড়ূ ফড়িংয়ের
পিছু হেঁটে হেঁটে-
সময়টা বয়ে যায়
খুব খেটে খেটে।
তবু ফের চেষ্টাটা
ধরবে সে মাঠে,
সবুজের আল জুড়ে
পিছু পিছু হাঁটে।
হঠাৎ সে ধরতেই
ফসকে তা যায়,
লেগে আছে তাই বেশ
শেষ চেষ্টায়।
তারপর ঠিকই সে
ধরে মজা পায়,
শিশুর বয়স ছাড়া
বুঝবে কে হায়!
উ ৎ প ল কা ন্তি ব ড়ূ য়া
আচ্ছা মাগো
আচ্ছা মাগো কখন মাঠে
খেলতে যাবো বলো,
কেবল ঘরের ভেতর থাকা
বেশতো ক'দিন হলো।
বার বার হাত ধোয়াও, হাতে
ময়লা আছে যেনো,
আচ্ছা মাগো বাইরে যাওয়া
কিসের বারণ কেনো?
ইশকুল আমার বন্দ হলো
সেই তো ক'দিন আগে,
মাঠেই যদি নাইবা খেলি
কওতো কেমন লাগে?
ঘরের ভেতর থাকতে বলো
সাথেও নাই মামা,
বাইরে যাবোই তোমার কথা
শুনবো না আজ, না মা!
বন্ধু রবিন শফি মাহিন
হই না ক'দিন জড়ো,
নিয়ম মতো আসে না সেই
প্রাইভেট টিউটরও?
বাবাও অফিস যায় না দেখি
প্রতিদিনের মতো,
ধুর মাগো মা, ঘরের ভেতর
বন্দি রবো কতো!
পড়ার টেবিল এঘর ওঘর
ভাল্লাগে না না না!
মন পাখি তার ছোট্ট দু'খান
ঝাপটিয়ে যায় ডানা।