প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২০
চার পা থাকলেও মৌমাছি কিন্তু তার পাখাটাকেই বেশি কাজে লাগায়। পাখায় ভর করে প্রতি ঘণ্টায় তারা আট কিলোমিটার উড়ে চলে যেতে পারে। ভাবা যায়!
তেল-সিএনজি ছাড়া যেমন গাড়ি চলে না তেমনি মধু ছাড়াও মৌমাছি চলতে পারে না। তবে মৌমাছির জন্য এত্তো এত্তো মধুর দরকার হয় না। তারা দুই চা চামচ মধু পেলে অনায়াসে পৃথিবী চক্কর দিয়ে আসতে পারবে! অ্যাই দেখো, মৌমাছিকে আবার বাহন হিসেবে নিয়ে পৃথিবী ভ্রমণে বের হয়ে যেয়ো না!
সব মৌমাছি কিন্তু মধু সংগ্রহ করে না। শুধু শ্রমিক মৌমাছিরাই মধু সংগ্রহ করে। তাও সারা জীবনে একেকটি মৌমাছি মধু সংগ্রহ করে মাত্র আধা চা চামচ পরিমাণ!
আমরা যে মধু পাই, তা মৌমাছি তৈরি করে কয়েকটি ধাপে। প্রথমে শ্রমিক মৌমাছি মাঠে গিয়ে ফুলের মধুগ্রন্থি থেকে সংগ্রহ করে। তারপর সেই মধু তাদের দেহের বিশেষ এক থলিতে জমা করে ফিরে আসে মৌচাকে। মৌচাকে ফিরে নতুন মৌমাছিদের দেয় সেই মধু। তারা এর সঙ্গে তাদের শরীর থেকে বেশ কয়েক ধরনের এনজাইম যোগ করার পর তা মৌচাকে জমা করে। এভাবে বেশ কিছুদিন পর তা আসল মধুতে রূপান্তরিত হয়।
বাজার থেকে বড়দের আনা মধু যদি নষ্ট হয়ে যায়, ধরে নেবে ঠকেছেন তারা! কারণ, মৌমাছির সংগৃহীত মধু কখনও নষ্ট হয় না।
অনেক নিয়ম-কানুন মেনে চলে মৌমাছিরা। তবু তারা একটা ঘরে জড়ো হয়ে থাকে। কতোটা মৌমামাছি থাকতে পারে একটা ঘরে? ঠিক আছে, ভাবতে হবে না। বলে দিচ্ছি, একটা ঘরে প্রায় ষাট হাজার মৌমাছি থাকতে পারে অনায়াসে! হ