- আন্তর্জাতিক
- কারফিউ ভেঙে শেষকৃত্যে হাজারো মানুষ
আন্তর্জাতিক
কারফিউ ভেঙে শেষকৃত্যে হাজারো মানুষ
নাগাল্যান্ড হত্যাকাণ্ড

ভারতের নাগাল্যান্ডের মন জেলায় সেনা অভিযান ও বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ১৪ জনের শেষকৃত্য হয় সোমবার। এ সময় হত্যার বিচার দাবি করেন তাদের স্বজনরা এএফপি
প্রথমত, ভুল অভিযান; দ্বিতীয়ত, বিক্ষোভে গুলি করে নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে উত্তেজনা বিরাজ করছে নাগাল্যান্ডে। সেখানে ইন্টারনেট ও এসএম সার্ভিস বন্ধ করে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করা হচ্ছে। নাগাল্যান্ডের ঘটনাকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে দেখছে স্থানীয় মানুষ ও বিরোধী দলগুলো।
গত শনিবার কয়লা খনি থেকে কাজ শেষে ফেরার সময় সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ ইউনিট শ্রমিকদের বহনকারী পিকআপ ট্রাকে গুলি চালায়। এতে নিহত হন আটজন। সেনাবাহিনীর দাবি, তাদের কাছে তথ্য ছিল, ওই গাড়িতে সন্ত্রাসীরা আছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে নিরাপত্তা বাহিনীকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করলে ফের গুলি চালানো হয়। এতে নিহত হন পাঁচজন। রোববার ফের বিক্ষোভ শুরু হলে আত্মরক্ষার কথা বলে গুলি চালানো হয়। এতে আরেকজন নিহত হন। এ সময় আহত এক জওয়ান পরে মারা যান। নিহত ওই ১৪ জন গ্রামবাসী নাগাল্যান্ডের পিছিয়ে পড়া কনিয়াক সম্প্রদায়ের মানুষ। শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে জড়ো হওয়া মানুষের হাতে প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। তার একটিতে লেখা- 'নিরীহ নাগরিকদের হত্যা সন্ত্রাসী কাজ, আমরা ভারতীয়, সন্ত্রাসী নই।'
গতকাল নাগাল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, হত্যার উদ্দেশ্যেই গিয়েছিল সেনাবাহিনীর ইউনিটটি। তবে অভিযানের টার্গেট 'ভুল' ছিল বলে স্বীকার করেছে সেনাবাহিনী।
এ বিষয়ে লোকসভায় অমিত শাহ বলেন, সন্ত্রাসীদের কথা জানতে পেরে ২১ জন কমান্ডোর একটি ইউনিট সেখানে অ্যাম্বুশ অ্যাটাক করে। শ্রমিকদের বাহনকারী গাড়িটিকে থামতে বললে সেটি দাঁড়াতে চায়নি। ফলে তারা গুলি করে। এ ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে তারা প্রতিবেদন দেবে। তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন কংগ্রেস, ডিএমকে, এনসিপি, বিএসপি ও এসপির এমপিরা। একে সরকারের ব্যর্থতা বলে অভিহিত করেন তারা।
বিষয় : নাগাল্যান্ড হত্যাকাণ্ড
মন্তব্য করুন