
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকায় ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ৫ হাজার ২২ হেক্টর জমির ওপর অন্য উন্নত দেশের আদলে অভয়ারণ্যের ছাঁচে ভাওয়াল শালবনে গড়ে তোলা হয় এই উদ্যান।
১৯৮২ সালে এটাকে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়; কিন্তু অবৈধ দখলদারদের বিরামহীন দস্যুপনায় ছোট হয়ে আসতে থাকে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। জবরদখল হয়ে যাওয়া বনভূমি উদ্ধার করে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য বনবিভাগ উদ্যোগ গ্রহণ করে। সূত্র জানায়, ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান রেঞ্জের অধীনে, বাড়ৈপাড়া, বিকেবাড়ি, রাজেন্দ্রপুর পশ্চিম, বাউপাড়া, বনখড়িয়া, ভবানীপুর ও উদ্যান নামে ৭টি বিট এলাকায় গত দেড় বছরে বিভিন্ন মৌজায় দখল হয়ে যাওয়া ৪০৫ বিঘা বনভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০১৬ সালের শুরু থেকে গত বছরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে ওই জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের ঢাকা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এএসএম জহির উদ্দিন আকন বলেন, বিলুপ্ত প্রায় বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওইসব এলাকায় গত বছরে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে বিলুপ্ত নানা জাতের বৃক্ষ রোপণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব জায়গায় বন্য পশুপাখির বিচরণ বেশি, সেসব স্থানে বিভিন্ন ফুল ও ফলের গাছ রোপণ করা হয়েছে। পাঁচ শতাধিক বটবৃক্ষের চারা রোপণসহ দেশের বিভিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলের বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ সংগ্রহ করে রোপণ করা হয়েছে। চিরসবুজ মধ্যম আকারের বৃক্ষ 'তমাল' গাছের সহস্রাধিক চারা রোপণ করা হয়েছে। ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে চম্পা ও অর্কিড রেস্ট হাউস এলাকায় শতাধিক আগর গাছ তত্ত্বাবধান করছে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ। প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে আগর বাগান গড়ে তোলার জন্য আগর বীজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন