- শেষের পাতা
- নবজাতকের মুখ দেখা হলো না মুর্শিদার
শেষের পাতা
আমিরাতে সড়ক দুর্ঘটনা
নবজাতকের মুখ দেখা হলো না মুর্শিদার

মাইথা হামিদ
জানা যায়, দুর্ঘটনায় নিহত নবজাতক ও মা-মেয়েকে গত বুধবার রাতে দেশটির আজমান শহরের একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। হামিদ নুর হোছাইন ও রওদা হামিদ (৫) শারজাহ আল কাসেমি হাসপাতালে এবং বাকি দুই মেয়ে হাফসা হামিদ (৯) ও রেনাদ হামিদ (৩) রাস আল খাইমার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় জড়িত গাড়িচালককে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতদের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে হামিদ নুর হোছাইন তার চার মেয়ে, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীসহ গাড়ি নিয়ে বাসা থেকে বের হন। যাত্রাপথে শারজাহ কাদেসিয়া সিগন্যালে দাঁড়ানো অবস্থায় দ্রুতগামী একটি গাড়ি পেছন থেকে তাদের গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় তাদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্য একটি গাড়ির ওপর দুমড়েমুচড়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় মাইথা হামিদ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অন্যদের উদ্ধার করে হাসপাতালে স্থানান্তর করে। জরুরিভিত্তিতে মুর্শিদার অস্ত্রোপচার করা হলেও বাঁচানো যায়নি মা ও নবজাতককে।
টেকনাফ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, ১৯৬৬ সাল থেকে হামিদ নুর হোছাইনের পরিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ শহরে থাকে। তার পৈতৃক নিবাস কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায়। মুর্শিদা বেগমের পৈতৃক নিবাস কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলায়। মুর্শিদা-হামিদ দম্পতির জন্ম, বেড়ে ওঠা ও বৈবাহিক সম্পর্ক তৈরি হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
বিষয় : আমিরাতে সড়ক দুর্ঘটনা
মন্তব্য করুন