সারাদেশের মেধাবী তারুণ্যকে সময়ের সঙ্গে মানিয়ে প্রযুক্তিতে সুদক্ষ করে তুলতে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। যথাযথ প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং, ই-কমার্স উদ্যোক্তা এবং মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপার হয়ে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে। প্রতিমন্ত্রী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আনন্দপুরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর এসব কথা বলেন।
উল্লিখিত সেন্টারটি ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে আট একর জায়গার ওপর সাততলাবিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, তরুণদের চাকরির পেছনে ছুটতে হবে না। আইসিটি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে তারা শুধু নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে না, অন্যদেরও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি করবে। নীতিকথা কম, কাজ বেশি এবং সময়ানুবর্তিতা অনুসরণ করা। শুধু সময় মতো নয়; সময়ের আগে কাজ করতে হবে। তরুণদের তখন আর ঢাকামুখী হতে হবে না। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে হাজারো ছেলেমেয়ে সরাসরি কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা সরাসরি ও ভার্চুয়ালি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন।
দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে নতুন ধরনের দক্ষতা উন্নয়ন ও বিকাশে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রতিটি সেবাকে সহজ, সুলভ ও দুর্নীতিমুক্ত করেছেন। স্থানীয়ভাবে ফ্রিল্যান্সাররা সফলতার উদাহরণ সৃষ্টি করছেন। যারা চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হয়েছেন, তারাই আরও অনেকের চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করেছেন।
বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হাই-টেক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফর উল্লাহ, স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহিদ এবং শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবিশন সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম।