চেক প্রতারণার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত। 

বুধবার নারায়ণগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (‘খ অঞ্চল’) ইমরান মোল্লার আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বৃহস্পতিবার এই পরোয়ান নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। 

মামলার বাদী এসকে নুরুন্নবী নান্নুর আইনজীবী আরসি মোদক লক্ষ্মণ ও রাকিবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আইনজীবী রাকিবুল ইসলাম বলেন, আসামিদের প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ওয়েবসাইটে ৬০ ভাগ ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রির অফার দেখতে পেয়ে ২০২১ সালে তিন দফায় ১৬টি মোটরসাইকেল কিনেন নান্নু। এতে তারা ৪৩ লাখ ২১ হাজার নগদ ও বিকাশ এবং অপর একটি ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করেন। 

মোটরসাইকেলগুলো অর্ডারের ৭ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ডেলিভারি করার কথা ছিল। তা না হলে প্রতিষ্ঠানটি মোটরসাইকেলের বাজার মূল্য বাবদ ৭১ লাখ ৭২ হাজার টাকা নান্নুকে প্রদানে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল। 

আসামিরা নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও মোটরসাইকেল গুলো ডেলিভারি দিতে না পারায় বাদী ইভ্যালির হট লাইন নাম্বারে যোগাযোগ করে অর্থ ফেরতের অনুরোধ করেন। তখন প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত অর্থ ফেরতের আশ্বাস দেয়।

অর্থ ফেরত না পেয়ে বাদী পুনরায় যোগাযোগ করলে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ তার নামে ৬টি চেক ইস্যু করেন। মিডল্যান্ড ব্যাংকের যেকোনো শাখা থেকে ইস্যুকৃত চেক দিয়ে টাকা উত্তোলন করা যাবে বলে জানিয়েছিল ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ। 

কিন্তু চেকগুলো জমা দিতে গিয়ে দেখা যায় সেগুলো ব্লক করা। বিষয়টি জানানোর জন্য বাদী ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বারবার ব্যর্থ হয়। 

গত বছরের ১৪ নভেম্বর ইভ্যালি কর্তৃপক্ষকে ডাকযোগে আইনি নোটিশ পাঠান এসকে নুরুন্নবী নান্নু। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে (‘খ’ অঞ্চল) মামলা দায়ের করেন নান্নু। 

প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বর্তমানে কারাবন্দি রয়েছেন।