- প্রযুক্তি
- নভেম্বরে ঢাকায় তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ব সম্মেলন
নভেম্বরে ঢাকায় তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ব সম্মেলন

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিভিত্তিক বিশ্ব সম্মেলন ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন ইনফরমেশন টেকনোলজির (ডব্লিউসিআইটি) ২৫তম আসর বসছে ঢাকায়। আগামী ১১ থেকে ১৪ নভেম্বর চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনের এবারের আয়োজক বাংলাদেশ।
এর আগে ২০১৯ সালে আর্মেনিয়ায় এবং গত বছর মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হয় তথ্যপ্রযুক্তির এ বৈশ্বিক সম্মেলন। পাশাপাশি এশিয়া ও ওশেনিয়া অঞ্চলের আন্তর্জাতিক সম্মেলন 'অ্যাসোসিও ডিজিটাল সামিট ২০২১' অনুষ্ঠিত হবে এ আয়োজনে।
ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস অ্যালায়েন্সের (উইটসা) উদ্যোগে সরকারের আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি যৌথভাবে আয়োজন করছে এ সম্মেলন।
মঙ্গলবার রাজধানীর সোনারগাঁও হাটেলে সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, 'আইসিটি দ্য গ্রেট ইকুয়ালাইজার' স্লোগানে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন, সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মাথায় রেখে সম্মেলনের বিভিন্ন সেমিনার ও কনফারেন্স অনলাইনেও অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজকরা জানান, আধুনিক ইন্টারনেটের জনক হিসেবে খ্যাত ভিন্টন গ্রে সার্ফ, রবার্ট এলিয়ট কান, রাদিয়া পার্লম্যান এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের উদ্ভাবক টিমোথি জন বারনার্স লি সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন। এ ছাড়া সম্মেলনে ইন্টেল চেয়ারম্যান ওমর এস ইশরাক, নাসা থেকে ডাউগ কমস্টক, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র অফিসের কমিশনার ভিক্টর ক্যালিস, ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের বিলেল জামৌসি, আইএমডি স্মার্ট সিটি অবজারভেটরির সভাপতিসহ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ অংশ নেবেন।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এবারের আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতসহ সামগ্রিক উন্নয়ন বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরা হবে। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও সাফল্য তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ এখন সফটওয়্যার ও আউটসোর্সিংয়ের পাশাপাশি হার্ডওয়্যার পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি খাত থেকে ১৩০ কোটি ডলার রপ্তানি আয় হচ্ছে। ২০২৫ সাল নাগাদ এ রপ্তানি আয় ৫০০ কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের ৩৮০০ ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সুবিধা পৌঁছে গেছে।
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। তথ্যপ্রযুক্তির এ বিশ্ব সম্মেলনে বাংলাদেশের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি এ খাতের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ বিনিময় হবে।
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে উইটসা মহাসচিব জেমস এইচ পোজেন্ট বলেন, ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত উইটসার সদস্য এখন ৮০টিরও বেশি দেশ। প্রথমবারের মতো ডব্লিউসিআইটি আয়োজন বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় বিশ্ব আসরে উপস্থাপন করবে। বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনেক এগিয়েছে এবং আগামীতে এ খাতে নেতৃত্ব দেবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
ডব্লিউসিআইটিতে অংশ নিতে https://www.wcit2021.org.bd এই ঠিকানায় নিবন্ধন করতে হবে। অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব জিয়াউল আলম, বিসিএস সভাপতি শাহিদ উল মুনীর এবং বিসিসির নির্বাহী পরিচালক আবদুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন