আইপিএলে যাওয়া নিয়ে দোটানায় সাকিব’ শিরোনামে গত ২৬ মার্চ সমকালে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, আইপিএলের পুরো আসরের জন্য সাকিবকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ছাড়পত্র না দেওয়ায় চলতি আসর থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন তিনি। 

শেষ পর্যন্ত সেটাই হলো। কলকাতা নাইট রাইডার্স কিংবা সাকিব আল হাসানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া না হলেও জানা গেছে, দেশের খেলা ও ব্যক্তিগত কারণে এবারের আইপিএলে খেলতে যাবেন না সাকিব। তার জায়গায় নতুন কাউকে পুরো আসরের জন্য নিতে চায় কেকেআর। বিষয়টি নিয়ে সমঝোতা করতে সম্মত হয়েছেন টাইগার অলরাউন্ডার।

সাকিব আশা করেছিলেন, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি২০ সিরিজ শেষেই তাকে কেকেআরে যোগ দেওয়ার সুযোগ করে দেবে বিসিবি। মে মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ সুপার লিগের শেষ সিরিজ থেকেও ছুটি পাবেন তিনি। কিন্তু বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জাতীয় দলের খেলা রেখে আইপিএলের অনাপত্তিপত্রের বিষয়টি নাকোচ করে দেন। 

মিরপুরে আইরিশদের বিপক্ষে টেস্ট চলবে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত। টেস্ট শেষ করে যেতে হলে সাকিব-লিটনরা তিনটি করে ম্যাচে মিস করবেন। কেকেআর ম্যানেজমেন্ট বিষয়টিকে ভালো চোখে নেয়নি।

এর আগে সাকিবের কাছের একজন সমকালকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে (২৬ মার্চের প্রতিবেদন) বলেছিলেন, ‘অনাপত্তিপত্র দেওয়া নিয়ে বিসিবি যে অবস্থান নিয়েছে তা কেকেআর ভালোভাবে নেয়নি। টেস্ট খেলে যেতে হলে অর্ধেক ম্যাচেও থাকতে পারবে না। ওখানে গেলেই তো খেলাবে না। এ কারণেই হয়তো আইপিএলে না যাওয়ার কথা ভাবছে সে। যতটা বুঝতে পেরেছি, সাকিব না যাওয়ার ব্যাপারে একপ্রকার মনস্থির করে ফেলেছে।’

বিসিবির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ আইপিএল কর্তৃপক্ষ পরের মৌসুমের নিলামে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের না রাখার কথা ভাবছে বলে খবর বেরিয়েছে ভারতে। এ নিয়ে আইপিএল কর্তৃপক্ষ বিসিসিআইকে চিঠি দেবে বলেও খবরে লেখা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার তালিকায় লঙ্কান ক্রিকেটারদেরও রাখা হতে পারে। 

নাম গোপন রাখার শর্তে জাতীয় দলের সাবেক একজন ক্রিকেটার বলেছিলেন, ‘আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও সাকিবদের নিয়ে খেলতে হলে বলতে হবে দেশের ক্রিকেট একটুও এগোয়নি। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বা বিসিবি সভাপতি কি অন্য ক্রিকেটারদের ওপর এতটুকু আস্থা রাখতে পারেন না। তাঁরাই তো দেখছি দেশের ক্রিকেটের উন্নতির অন্তরায়। আইপিএল কর্তৃপক্ষ সত্যি সত্যি বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের বয়কট করলে ক্ষতি হয়ে যাবে। দু’দেশের ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে সম্পর্কেরও অবনতি হতে পারে।’