- বিশেষ আয়োজন
- শিশুর মনের বিকাশ
শিশুর মনের বিকাশ

সাধারণত আমরা শিশুর শারীরিক বিকাশে যতটা মনোযোগ বা গুরুত্ব দিই, মানসিক বিকাশে ততটা মনোযোগ ও গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি না। অথচ মানসিকভাবে সুস্থ না হলে শিশুর পরিপূর্ণ বিকাশ সম্ভব নয়। শারীরিক ও মানসিক উভয়ভাবে শিশুকে সুস্থ রাখতে হবে।
এ সম্পর্কে নবজাতক ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ বারডেম জেনারেল হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, 'শিশু যখন বড় হয় তখন চারদিকের পরিবেশ তাকে অনেক বেশি প্রভাবিত করে। এর প্রতিফলন ঘটে তার ব্যক্তিত্বে। শিশুর সামগ্রিক বিকাশের সঙ্গে পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতা নিবিড়ভাবে জড়িত। এ ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলার অভ্যাস করতে হবে। অনেক সময় শিশুরা দুষ্টুমি করে। আমরা না বুঝে তাদের ভয় দেখাই, শাস্তি দিই। এতে শিশুর আত্মবিশ্বাস কমে যায়। শিশুর প্রতিটি কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। তার কথার গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি শিশুর ভালো কাজের প্রশংসাও করতে হবে। তার প্রতিটি মতামত গুরুত্বসহকারে শুনতে হবে। শিশুর সঙ্গে তার ভালো লাগা, খারাপ লাগা বিষয় নিয়ে কথা বললে তার ভেতরে চিন্তা করার দক্ষতা তৈরি হবে। শিশু যেসব জিনিস ব্যবহার করে, সেটা তার পছন্দ অনুযায়ী যদি কেনা সম্ভব হয়, তবে তার মতামত প্রদানের অভ্যাস গঠন হবে। তার বিছানার চাদর, পড়ার টেবিল, কোন পোশাক পরবে- সেসবের ব্যাপারে তার পছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে। অনেক বাবা-মা আছেন, সন্তানের সব কাজ করে দেন। এটা ঠিক নয়। এতে সন্তান দায়িত্ব নিতে শেখে না। দায়িত্ব নিতে ভয় পায়। শিশুকে ছোট ছোট দায়িত্ব দিতে হবে। শিশু ইচ্ছাকৃত কিছু করতে চাইলে সেটা তাদের জন্য ক্ষতিকর না হলে নিষেধ না করে বরং সাহস দিন।'
গবেষণায় দেখা গেছে, শৈশবে শিশুরা যদি ছবি আঁকার সুযোগ পায়, তাহলে তারা মেধাবী ও বুদ্ধিমান হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, শিল্পচর্চার মাধ্যমে শিশুর সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সুখ-দুঃখে সংগীত যেমন আমাদের মনোরঞ্জন করে, তেমনি শৈশব থেকেই শারীরিক ও মানসিক অনেক কাজের ওপরেও রয়েছে সংগীতের নিবিড় প্রভাব। তাই শিশুকে একেবারে ছোটবেলা থেকেই সংগীতের সঙ্গে পরিচয় করানো জরুরি। শিশুকে শিক্ষামূলক বইয়ের পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে দিন। দুই বছরের কম বয়সী শিশুর হাতে মোবাইল ডিভাইস দেওয়া যাবে না; শিশুর ঘুমানোর রুমে টেলিভিশন থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে।
এ সম্পর্কে নবজাতক ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ বারডেম জেনারেল হাসপাতাল ও ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, 'শিশু যখন বড় হয় তখন চারদিকের পরিবেশ তাকে অনেক বেশি প্রভাবিত করে। এর প্রতিফলন ঘটে তার ব্যক্তিত্বে। শিশুর সামগ্রিক বিকাশের সঙ্গে পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিকতা নিবিড়ভাবে জড়িত। এ ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন মেনে চলার অভ্যাস করতে হবে। অনেক সময় শিশুরা দুষ্টুমি করে। আমরা না বুঝে তাদের ভয় দেখাই, শাস্তি দিই। এতে শিশুর আত্মবিশ্বাস কমে যায়। শিশুর প্রতিটি কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। তার কথার গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি শিশুর ভালো কাজের প্রশংসাও করতে হবে। তার প্রতিটি মতামত গুরুত্বসহকারে শুনতে হবে। শিশুর সঙ্গে তার ভালো লাগা, খারাপ লাগা বিষয় নিয়ে কথা বললে তার ভেতরে চিন্তা করার দক্ষতা তৈরি হবে। শিশু যেসব জিনিস ব্যবহার করে, সেটা তার পছন্দ অনুযায়ী যদি কেনা সম্ভব হয়, তবে তার মতামত প্রদানের অভ্যাস গঠন হবে। তার বিছানার চাদর, পড়ার টেবিল, কোন পোশাক পরবে- সেসবের ব্যাপারে তার পছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে। অনেক বাবা-মা আছেন, সন্তানের সব কাজ করে দেন। এটা ঠিক নয়। এতে সন্তান দায়িত্ব নিতে শেখে না। দায়িত্ব নিতে ভয় পায়। শিশুকে ছোট ছোট দায়িত্ব দিতে হবে। শিশু ইচ্ছাকৃত কিছু করতে চাইলে সেটা তাদের জন্য ক্ষতিকর না হলে নিষেধ না করে বরং সাহস দিন।'
গবেষণায় দেখা গেছে, শৈশবে শিশুরা যদি ছবি আঁকার সুযোগ পায়, তাহলে তারা মেধাবী ও বুদ্ধিমান হয়। বিজ্ঞানীদের মতে, শিল্পচর্চার মাধ্যমে শিশুর সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সুখ-দুঃখে সংগীত যেমন আমাদের মনোরঞ্জন করে, তেমনি শৈশব থেকেই শারীরিক ও মানসিক অনেক কাজের ওপরেও রয়েছে সংগীতের নিবিড় প্রভাব। তাই শিশুকে একেবারে ছোটবেলা থেকেই সংগীতের সঙ্গে পরিচয় করানো জরুরি। শিশুকে শিক্ষামূলক বইয়ের পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে দিন। দুই বছরের কম বয়সী শিশুর হাতে মোবাইল ডিভাইস দেওয়া যাবে না; শিশুর ঘুমানোর রুমে টেলিভিশন থাকলে তা সরিয়ে ফেলতে হবে।
মন্তব্য করুন