
২০ পোস্ট-ই-সেন্টারের ১৪টিই বন্ধ
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২৩ । ০০:০০ | আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২৩ । ১৩:৪০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কে এম আজাদ রহমান, আগৈলঝাড়া (বরিশাল)

সরকারের 'রূপকল্প ২০২১' বাস্তবায়নে ২০১৬ সালে 'পোস্ট-ই-সেন্টার' প্রকল্প চালু করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। দেশের ৯ হাজার ৮৮৬টি পোস্ট অফিসে এই সেন্টার চালু হয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ জনগোষ্ঠী ১৮ ধরনের সেবা পান এসব কেন্দ্রে। কিন্তু সেবা তো দূরের কথা, বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় অনেক কেন্দ্রই চালুর পর বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি পোস্ট-ই-সেন্টারের সেবা সম্পর্কেই জানেন না অনেকে।
এই উপজেলায় ২০টি ই-সেন্টার চালু করা হয়। তবে কিছুদিন যেতে না-যেতেই মুখ থুবড়ে পড়ে বেশির ভাগ সেন্টারের কার্যক্রম। সরবরাহকৃত সরঞ্জামের নিম্নমান, ব্যক্তিগত কাজে উপকরণের ব্যবহার, উদ্যোক্তা সংকট ও প্রচারের অভাবের কারণে বর্তমানে ১৪ সেন্টার বন্ধ রয়েছে।
কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিষয়ে তথ্য মেলে পোস্ট-ই-সেন্টারে। এখানে প্রাপ্ত অন্য সেবার মধ্যে রয়েছে- ই-মেইল পাঠানো ও গ্রহণ, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, প্রিন্ট, স্ক্যানিং, ওয়েব ক্যামেরার মাধ্যমে দেশ-বিদেশে যোগাযোগ, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, তথ্য সরবরাহ, অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, পরীক্ষার ফলাফল, অনলাইনে টেন্ডার প্রক্রিয়া, কেনাকাটা, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক তথ্য, বিভিন্ন সরকারি ফরম ডাউনলোড এবং পোস্টাল ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতা পরিশোধ।
একজন উদ্যোক্তার অধীনে পোস্ট-ই-সেন্টারের সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রতিটি সেন্টারে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিনামূল্যে তিনটি ল্যাপটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, মডেম, সিম কার্ড, মাউস-কিবোর্ড প্যাকেজ, হেডফোন, মাল্টিপ্লাস এমকে সকেট বোর্ড, পিওএস মেশিনসহ ১৯ রকম সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ই-সেন্টার থেকে যে আয় হবে, তার ১০ ভাগ পাবে সংশ্নিষ্ট পোস্ট মাস্টার, সরকার ১০ ভাগ ও ৮০ ভাগ উদ্যোক্তার।
মাঠের পরিস্থিতি জানতে গত ২ থেকে ৯ জানুয়ারি উপজেলার সব ই-সেন্টার ঘুরে দেখেন এ প্রতিনিধি। এ সময়ে ২০টির মধ্যে মাত্র ৬টি সেন্টারের কার্যক্রম চালু দেখা গেছে। অবশ্য কোনো সেন্টারেই সাইনবোর্ড দেখা যায়নি।
বন্ধ সেন্টারগুলো হলো- সদর, বাকাল, কোদালধোয়া, জোবারপাড়, বাগধা, রাজিহার, বাশাইল, সেরাল, বারপাইকা, নাঠৈ, বারহাজার বড়িয়ালী, কাঠিরা, ফুল্লশ্রী ও রত্নপুর। সদরের পোস্ট মাস্টার মনজুর রহমান দাড়িয়া জানান, উদ্যোক্তা সংকটে সেন্টারটি বন্ধ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজিহার এলাকার সেন্টারটিতে তিনবার উদ্যোক্তা পরিবর্তন করেও চালু রাখা যায়নি। সেখানে কাগজে-কলমে রনি হাওলাদার উদ্যোক্তার দায়িত্ব পালন করলেও ল্যাপটপসহ মালপত্র অকেজো থাকায় সেন্টারটি বন্ধ।
ফুল্লশ্রী সেন্টারের পোস্ট মাস্টার লিয়াকত হোসেন নিজে উদ্যোক্তা হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন। একই ব্যক্তি দুই পদে থাকতে পারবেন না, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে এমন বার্তা পাওয়ার পর অন্য একজনকে উদ্যোক্তা হিসেবে মনোনীত করা হয়। এর পরও সেন্টারটি বন্ধ আছে।
ফুল্লশ্রীর সাবেক ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান খলিফা বলছিলেন, সেন্টারটি চালু থাকলে সব ধরনের ডিজিটাল সেবা পেতেন। এটি বন্ধ থাকায় বেশি সময় ও খরচ করে অন্যত্র সেবা নিতে হচ্ছে।
রাজিহার ই-সেন্টার বন্ধ থাকায় সেখানে কী ধরনের সেবা দেওয়া হয়, তা স্থানীয় বাসিন্দা ইদ্রিস হাওলাদারের মতো অনেকেই জানেন না।
বাগধার ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্রের নিয়াজুল ইসলাম নেওয়াজকে উদ্যোক্তা সাজিয়ে ই-সেন্টারের ল্যাপটপ-কম্পিউটারসহ অন্য মালপত্র আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টারের বিরুদ্ধে। সেন্টারের দুটি প্রিন্টার নেওয়াজের কাছে মাসে ৪০০ টাকায় ভাড়া দিয়েছেন তিনি। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টার কামরুজ্জামান চান মিঞা।
কাঠিরার সেন্টারটি চার কিলোমিটার দূরে জোবারপাড় এলাকায় চালাচ্ছেন উদ্যোক্তা শুভ্র দীপক হালদার। জোবারপাড়ে দুটি সেন্টার। মালপত্র নষ্টের কারণে একটি বন্ধ। অপরটির উদ্যোক্তা শুভ্র দীপক। ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টার গকুল চন্দ্র হালদারের অভিযোগ, উৎকোচের মাধ্যমে উদ্যোক্তা মনোনীত করা হয়। তাঁর বাড়ি জোবারপাড় গ্রামে। এ কারণে কাঠিরার মানুষ ডিজিটাল সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গকুল চন্দ্র হালদারের এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন
শুভ্র দীপক।
কোদালধোয়া সেন্টারের উদ্যোক্তা তরুণ বাড়ৈ। অভিযোগ রয়েছে, এই সেন্টারের ল্যাপটপসহ অন্য মালপত্র ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টার শ্যামল কুমার বৈষ্ণব নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লোপা ফার্মেসিতে ব্যবহার করেন। তবে শ্যামল কুমার বৈষ্ণব দাবি করেন, পোস্ট-ই-সেন্টারের মালপত্র অকেজো হওয়ায় তরুণ বাড়ৈ তাঁর কাছে জমা দিয়েছেন।
অন্য সেন্টারগুলো নিয়েও নানান অভিযোগ। বাসাইলের ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টার শহীদুল ইসলাম তাঁর ছেলে বায়েজিদ রহমানকে উদ্যোক্তা বানিয়ে সেন্টারের মালপত্র নিজের কবজায় নিয়েছেন। ফুল্লশ্রী ও নাঠৈ সেন্টারসহ তিনটি সেন্টারের মালপত্র ব্যবহার করছেন গৈলা বাজার সেন্টারের উদ্যোক্তা জহিরুল ইসলাম। তবে তাঁর দাবি, এ সেন্টার থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণসহ ডিজিটাল সব সেবা দেওয়া হচ্ছে।
সমকালের অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, ভাল্লুকশীর ওমর ফারুক নিজেই ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টার ও উদ্যোক্তা। বারহাজার বড়িয়ালী সেন্টারের উদ্যোক্তা শাহিদা আক্তারের বাড়ি পার্শ্ববর্তী উজিরপুর উপজেলার শোলক গ্রামে। বারহাজার বড়িয়ালী গ্রামে তাঁর নানার বাড়ি হওয়ার সুবাদে এখানকার তিনি উদ্যোক্তা হয়েছেন। তবে বন্ধ রয়েছে সেন্টারটি। আস্কর এলাকার সেন্টারের উদ্যোক্তা জেসমিন খন্দকার। তিনি সেন্টারটি জনবহুল এলাকায় প্রতিষ্ঠা না করে নিজ বাড়িতে পরিচালনা করছেন।
এভাবে আরও বেশ কিছু অনিয়মের তথ্য মিলেছে। তবে বিপরীত চিত্রও পাওয়া গেছে। পয়সারহাটের উদ্যোক্তা হাফিজ বক্তিয়ার তাঁর সেন্টারের ল্যাপটপসহ অন্য মালপত্র নষ্ট হওয়ায় নিজের টাকায় কম্পিউটারসহ বিভিন্ন মালপত্র কিনে সেন্টার চালু রেখেছেন। বাহাদুরপুর সেন্টারের উদ্যোক্তা মঞ্জু সমদ্দার মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় তাঁর স্বামী মিন্টু লাল সরকার সেবা দিচ্ছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী রুহী দাস জানান, ই-পোস্ট-সেন্টারের সেবায় তাঁরা খুশি।
ই-সেন্টারের মালপত্রের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জোবারপাড় সেন্টারের আশুতোষ অধিকারী, কোদালধোয়ার তরুণ বাড়ৈ, আস্করের জেসমিন খন্দকার, পয়সার হাটের হাফিজ বক্তিয়ারসহ আরও কয়েকজন উদ্যোক্তা। তাঁদের অভিযোগ, ল্যাপটপসহ অন্য মালপত্র নিম্নমানের হওয়ায় বছর না ঘুরতেই অধিকাংশ অকেজো হয়ে পড়ে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে বরিশাল পোস্ট অফিস পরিদর্শক (প্রশাসন) শিমুল চন্দ্র দে বলেন, প্রকল্পের মালপত্র নষ্ট হলে উদ্যোক্তা নিজে মেরামত করবেন। এ জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। মালপত্র খোয়া গেলে পোস্ট মাস্টার ও উদ্যোক্তাকে দায়ভার বহন করতে হবে।
ই-সেন্টার দেখভালের কাজ একজন পরিদর্শকের। আগৈলঝাড়া পোস্ট-ই-সেন্টারের পরিদর্শক মো. মজির উদ্দিন বলেন, প্রত্যেক পোস্ট মাস্টার প্রতিটি ই-সেন্টারের তত্ত্বাবধায়ক। তবে যেভাবে সেন্টার পরিচালনা হওয়ার কথা ছিল, সেভাবে হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, শুরুতে পোস্ট-ই-সেন্টারের জন্য প্রশিক্ষিত উদ্যোক্তা খুঁজে পাওয়া মুশকিল ছিল। উদ্যোক্তা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পোস্ট অফিসের পরিদর্শকদের সুপারিশও ছিল। যেখানে উদ্যোক্তা পাওয়া যায়নি, সেখানে পোস্ট মাস্টাররা তাঁদের স্বজনকে উদ্যোক্তা হিসেবে সুপারিশ করেছেন।
পোস্ট-ই-সেন্টারের প্রতিটি সেবার বিপরীতে সরকার নির্ধারিত মূল্য নেওয়া হয়। যেমন- ৪ কপি ছবি ৪০ টাকায়, যে কোনো ফটোকপি ৪, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ৫, অনলাইনে চাকরির আবেদন ৫০, নগদের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন প্রতি হাজারে ৪, ই-মেইল পাঠানো ২০, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ তিন মাসে ৬০০, ছয় মাসে ১ হাজার ২০০, পরীক্ষার ফলাফল ডাউনলোড ও প্রিন্ট ২০, ফরম ডাউনলোড ও প্রিন্ট ২০ এবং শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা তুলতে প্রতি হাজারে ১৪ টাকা নেওয়া হয়। অবশ্য এই ১৪ টাকা সরকার দিয়ে দেয়। এ ছাড়া বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ ও 'ব্যাংক এশিয়া' ব্যাংকের সেবা দেওয়া হয় এসব সেন্টারে।
গত ২৬ জানুয়ারি বাহাদুরপুর, কাঠিরা, গৈলা বাজার ও পয়সারহাট পোস্ট-ই-সেন্টারের উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পোস্ট-ই-সেন্টারে প্রতিদিনের কাজের আয়-ব্যয়ের হিসাব লিপিবদ্ধ করা হয় না। তাঁরা কেউই পরিস্কার করে বলতে পারেননি তাঁদের দৈনিক অথবা মাসিক আয় কত এবং এ কাজে তাঁদের ব্যয়ই-বা কত। এমনকি একদিনে সর্বোচ্চ আয় কত হয়েছে, তাও বলতে পারেননি কেউই।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, একটি পোস্ট-ই-সেন্টারের উদ্যোক্তা প্রতিদিন সরকারকে চুক্তি অনুযায়ী ২০০ টাকা আয় থেকে ১০ শতাংশ হারে ২০ টাকা দিলে মাসে দাঁড়ায় ৬০০ টাকা এবং বছরে ৭ হাজার ২০০ টাকা। সেই হিসাবে সারাদেশে ৯ হাজার ৮৮৬টি পোস্ট ই-সেন্টার থেকে সরকারের বার্ষিক রাজস্ব আয় দাঁড়ায় ৭১ কোটি ১৭ লাখ ৯ হাজার ২০০ টাকা। সমপরিমাণ টাকা পোস্ট মাস্টারদেরও পাওয়ার কথা।
কিন্তু উদ্যোক্তারাই বলছেন, পোস্ট-ই-সেন্টারের আয় থেকে ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টারের ১০ শতাংশ কোনো উদ্যোক্তাই দেন না। তবে সরকারের ১০ ভাগ নিজেদের ইচ্ছা মতো দিয়ে থাকেন।
গৈলা বাজারের পোস্ট-ই-সেন্টারের উদ্যোক্তা জহিরুল যেমনটা বলছিলেন, 'আগে আয় ভালো হতো, মাসে সরকারকে ৫০০-৭০০ টাকা
দিতাম; এখন আয় কমে গেছে, তাই ৩০০-৪০০ টাকা দিই।'
এ বিষয়ে উপজেলা সদরের পোস্ট মাস্টার মনজুর রহমান দাড়িয়া তাঁর পূর্ববর্তী কর্মস্থলের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, তাঁর আগের কর্মস্থল ছিল পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া। সেখানে একটি পোস্ট-ই-সেন্টারের উদ্যোক্তা প্রতি মাসে সরকারের ১০ শতাংশ ও ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টারের ১০ শতাংশ বাবদ ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা
জমা দিতেন।
পোস্ট অফিস পরিদর্শক (প্রশাসন) শিমুল চন্দ্র দের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বরিশাল বিভাগে ৫৬৩টি পোস্ট-ই-সেন্টার রয়েছে। গত ডিসেম্বরে উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত সরকারের ১০ শতাংশ হারে ৫৬৩টি পোস্ট-ই-সেন্টার থেকে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৯২৯ টাকা জমা হয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়েছে জানিয়ে বরিশাল ডেপুটি পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। যে পোস্ট-ই-সেন্টারগুলো বন্ধ রয়েছে, সেগুলোর আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা নেই।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : মোজাম্মেল হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com