
বিদ্যুৎ সংযোগের নামে দালালরা হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা
২৫ অক্টোবর ১৮ । ০০:০০
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

চরফ্যাশনের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার এই কর্মযজ্ঞকে পুঁজি করে গ্রামে গ্রামে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালালচক্র। পল্লী বিদ্যুতের ঠিকাদারদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এবং অফিসের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে এ দালালচক্র বিদ্যুতের খুঁটি, লাইন স্থাপন এবং মিটার সংযোগ নিশ্চিত করার অজুহাতে আগ্রহী গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা আদায় করছে। গ্রাহকদের অভিযোগ- ঘুষছাড়া বিদ্যুৎ লাইন কিংবা সংযোগ কিছুই মিলছে না।
চরফ্যাশন উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে ২ হাজার ৩৭৯ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণের কাজ চলছে। বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এসব কাজ বাস্তবায়ন করছে। যার মধ্যে ১ হাজার ৪২৬ কিলোমিটার লাইন স্থাপন করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ৯৫৩ কিলোমিটার লাইন স্থাপনের কাজ চলমান।
গ্রাহকদের অভিযোগ- খুঁটি, লাইন এবং মিটারের জন্য গ্রাহকপ্রতি ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা করে চাঁদা ধরা হয়েছে। গ্রাম থেকে গ্রামে নির্ধারিত দালালদের মাধ্যমে এসব টাকা আদায় করা হচ্ছে। কোনো কারণে দালালদের দাবি করা টাকা দিতে অস্বীকার করলে কিংবা প্রতিবাদ করলে নানা অজুহাতে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগের বাইরে রাখা হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে এবং ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমেই দালালচক্র এসব অপকর্ম করছে। যার সুবাদে পল্লী বিদ্যুতের চরফ্যাশন সাব জোনাল অফিসটি দালালচক্রের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ আফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নতুন লাইনের ক্ষেত্রে মিটার বাবদ জামানত ফি ৪শ' টাকা, সদস্য ফি ৫০ টাকা, আবেদন জমা বাবদ ১শ' টাকা, সর্বমোট ৭৫০ টাকা। এ ছাড়াও পুরনো লাইনের ক্ষেত্রে অনলাইনের আবেদন ফি ১শ' টাকা বাড়তিসহ মোট ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে নতুন বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে লাইন ম্যাপ। এখনও খুঁটি স্থাপন করা হয়নি। লাইন টানার কোনো খবরও নেই। এই সুযোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালালচক্র। বিদ্যুৎ এনে দেবে এমন আওয়াজ তুলে চাহিদা মতো টাকা তোলা শুরু করেছে দালালরা। এই গ্রামের সম্ভাব্য গ্রাহক মো. সবুজ হোসেন অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ আসছে এমন আওয়াজ তুলে ইউসুফ হাওলাদার নামের এক দালাল ২০১৭ সালের জুন মাসে গ্রামের ৭০টি পরিবারের কাছ থেকে সাড়ে ৫ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেয়। তারপর চলতি বছরের গোড়ার দিকে ছোটন নামের আরেক দালাল বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের জন্য গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা করে আদায় শুরু করে। এখন ইউসুফ ও ছোটন এক হয়ে সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে নানা অজুহাতে আরও ২ হাজার টাকা করে দাবি করছে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী এই দালালদের বিরুদ্ধে গ্রামজুড়ে ঝাড়ূমিছিলও করেছেন। চরফ্যাশন উপজেলার প্রতিটি গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহ লাইন স্থাপন ও মিটার বরাদ্দের নামে একই কারবার চলছে।
চরফ্যাশন পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এ বিষয়ে গ্রাহকদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। মাঝে মধ্যে মাইকিং করা হচ্ছে। বিদ্যুতের নাম করে কেউ টাকা চাইলে তাকে ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
চরফ্যাশন উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে ২ হাজার ৩৭৯ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারণের কাজ চলছে। বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এসব কাজ বাস্তবায়ন করছে। যার মধ্যে ১ হাজার ৪২৬ কিলোমিটার লাইন স্থাপন করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ৯৫৩ কিলোমিটার লাইন স্থাপনের কাজ চলমান।
গ্রাহকদের অভিযোগ- খুঁটি, লাইন এবং মিটারের জন্য গ্রাহকপ্রতি ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা করে চাঁদা ধরা হয়েছে। গ্রাম থেকে গ্রামে নির্ধারিত দালালদের মাধ্যমে এসব টাকা আদায় করা হচ্ছে। কোনো কারণে দালালদের দাবি করা টাকা দিতে অস্বীকার করলে কিংবা প্রতিবাদ করলে নানা অজুহাতে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগের বাইরে রাখা হচ্ছে। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে এবং ঠিকাদারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমেই দালালচক্র এসব অপকর্ম করছে। যার সুবাদে পল্লী বিদ্যুতের চরফ্যাশন সাব জোনাল অফিসটি দালালচক্রের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুৎ আফিস সূত্রে জানা যায়, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নতুন লাইনের ক্ষেত্রে মিটার বাবদ জামানত ফি ৪শ' টাকা, সদস্য ফি ৫০ টাকা, আবেদন জমা বাবদ ১শ' টাকা, সর্বমোট ৭৫০ টাকা। এ ছাড়াও পুরনো লাইনের ক্ষেত্রে অনলাইনের আবেদন ফি ১শ' টাকা বাড়তিসহ মোট ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে উপজেলার এওয়াজপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে নতুন বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে লাইন ম্যাপ। এখনও খুঁটি স্থাপন করা হয়নি। লাইন টানার কোনো খবরও নেই। এই সুযোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালালচক্র। বিদ্যুৎ এনে দেবে এমন আওয়াজ তুলে চাহিদা মতো টাকা তোলা শুরু করেছে দালালরা। এই গ্রামের সম্ভাব্য গ্রাহক মো. সবুজ হোসেন অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ আসছে এমন আওয়াজ তুলে ইউসুফ হাওলাদার নামের এক দালাল ২০১৭ সালের জুন মাসে গ্রামের ৭০টি পরিবারের কাছ থেকে সাড়ে ৫ হাজার করে টাকা হাতিয়ে নেয়। তারপর চলতি বছরের গোড়ার দিকে ছোটন নামের আরেক দালাল বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের জন্য গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা করে আদায় শুরু করে। এখন ইউসুফ ও ছোটন এক হয়ে সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে নানা অজুহাতে আরও ২ হাজার টাকা করে দাবি করছে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী এই দালালদের বিরুদ্ধে গ্রামজুড়ে ঝাড়ূমিছিলও করেছেন। চরফ্যাশন উপজেলার প্রতিটি গ্রামে পল্লী বিদ্যুতের সরবরাহ লাইন স্থাপন ও মিটার বরাদ্দের নামে একই কারবার চলছে।
চরফ্যাশন পল্লী বিদ্যুৎ সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এ বিষয়ে গ্রাহকদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। মাঝে মধ্যে মাইকিং করা হচ্ছে। বিদ্যুতের নাম করে কেউ টাকা চাইলে তাকে ধরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
© সমকাল ২০০৫ - ২০২৩
সম্পাদক : আলমগীর হোসেন । প্রকাশক : আবুল কালাম আজাদ
টাইমস মিডিয়া ভবন (৫ম তলা) | ৩৮৭ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা - ১২০৮ । ফোন : ৫৫০২৯৮৩২-৩৮ | বিজ্ঞাপন : +৮৮০১৭১৪০৮০৩৭৮ | ই-মেইল: samakalad@gmail.com