- আন্তর্জাতিক
- ভূমিকম্পের সময় জন্ম নেওয়া শিশুটির মা-বাবা ভাই-বোন কেউই রইল না
ভূমিকম্পের সময় জন্ম নেওয়া শিশুটির মা-বাবা ভাই-বোন কেউই রইল না

ছবি- এএফপি।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একটি নবজাতক কন্যা শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এক স্বজন জানান, ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর পরই তার মায়ের প্রসব বেদনা দেখা দেয়। মৃত্যুর আগে তিনি সন্তান জন্মদান করেন। নবজাতকের বাবা, চার ভাইবোন এবং এক খালাও ভূমিকম্পে নিহত হয়েছে। খবর- বিবিসি।
ভিডিওতে দেখা যায়, জিন্দারিসের ধ্বংসাবশেষ থেকে টেনে বের করার পর ধুলায় ঢেকে থাকা এক শিশুকে এক ব্যক্তি নিয়ে আসছেন।
আফরিনের কাছে স্থানীয় একটি হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটির শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
তুরস্ক সীমান্তের কাছে ইদলিব প্রদেশের জিন্দারিসের যে ভবনটিতে শিশুটির পরিবার বাস করত সেটি ছিল ৭.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ধসে পড়া ৫০টি ভবনের একটি।
শিশুটির চাচা খলিল আল-সুয়াদি বলেন, আত্মীয়রা ধসে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি বলেন, আমরা খনন করার সময় একটি আওয়াজ শুনতে পাই। তখন ধুলো পরিষ্কার করি এবং নাভির সঙ্গে থাকা নাড়িতে জড়ানো শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় পেয়েছি। পরে আমরা নাড়ি কাটি। আমার চাচাতো ভাই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হানি মারুফ বলেন, শিশুটির শরীরে বেশ কিছু আঘাত ও ক্ষত রয়েছে। প্রচণ্ড শীতের কারণে তার হাইপোথার্মিয়া হয়েছে। আমাদের তাকে গরম করতে হয়েছে এবং ক্যালসিয়াম দিতে হয়েছিল।
তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা আট হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। আড়াই কোটিরও বেশি মানুষ শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের শিকার হয়েছেন বলে ধারণা করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এতে মৃত্যুর সংখ্যা আট গুণ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
বিবিসি জানায়, দুই দেশেই হাজার হাজার ভবন ধসে পড়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া মানুষদের বাঁচাতে উদ্ধারকর্মীরা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। উত্তর সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া লোকজন সাহায্যের জন্য ডাকাডাকি করছেন। কিন্তু তাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার মতো প্রায় কেউ নেই।
গত সোমবার তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে। পরে আরও কয়েক দফায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
মন্তব্য করুন