- আন্তর্জাতিক
- বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনের পাশে জি-৭
ইউক্রেন সংকট
বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনের পাশে জি-৭

রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রতি অটল সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-৭ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই ঘোষণা দিয়েছেন। জার্মানিতে একটি তিন দিনের বৈঠকের দ্বিতীয় দিনে তারা এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-ইভেস লে দ্রিয়ান বলেছেন, 'বিজয় না আসা হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের লড়াইকে দীর্ঘমেয়াদে সমর্থন করতে জি-৭ ঐক্যবদ্ধ। বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রীরা কিয়েভের জন্য অতিরিক্ত অর্ধ বিলিয়ন ডলারের বেশি সামরিক সহায়তা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এর ফলে ইউক্রেনকে এ পর্যন্ত মোট দুই বিলিয়ন ইউরোর সামরিক সহায়তা দেওয়া হলো।
বৈঠকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিব লিজ ট্রাস ইউক্রেনের জন্য আরও সমর্থনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তখনই প্রত্যাহার করা উচিত, যখন সব সেনা ইউক্রেন ছেড়ে চলে যাবে। তিনি বলেন, পুতিন বিশ্বমঞ্চে নিজেকে অপমান করছেন। এ সময় তিনি ইউক্রেনের কাছে ন্যাটো সামরিক সরঞ্জামের পরিমাণ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
ধনী দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠককালে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে সহায়তা করার লক্ষ্যে রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও হস্তান্তর করার জন্য জি-৭-এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। তিনি বলেন, আমার দেশ পুনর্গঠনের জন্য রাশিয়ার সার্বভৌম সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি।
ইউক্রেনের মধ্য পোলতাভা অঞ্চলে ক্রেমেনচুক তেল শোধনাগার লক্ষ্য করে হামলা করেছে রাশিয়া। ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক গভর্নর দিমিত্রো লুনিন একটি টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছেন, হামলার সময় বিস্ম্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। গত মাসে লুনিন জানিয়েছিলেন, ক্রেমেনচুক তেল শোধনাগারটি ইউক্রেনের একমাত্র চালু থাকা শোধনাগার। রুশ হামলা শুরু পর থেকে মূলত ইউক্রেনের সব শোধনাগার বন্ধ হয়ে যায়।
রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের শান্তি আলোচনা অনেক দিন ধরেই থেমে আছে। এর জন্য কিয়েভকে দায়ী করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিন। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজের সঙ্গে এক ফোনালাপে তিনি অভিযোগ করেন, শান্তি আলোচনা বন্ধের জন্য মস্কো নয়, বরং কিয়েভ-ই দায়ী।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদ পেতে যত দ্রুত সম্ভব আবেদন করার আগ্রহ দেখানোয় ফিনল্যান্ডকে পরিণতি ভোগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। এদিকে ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবাহিনীর একটি রসদবাহী জাহাজের ক্ষতি করেছে। তবে তাদের দাবিটি যাচাই করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি। সূত্র এএফপি, রয়টার্স, আরটি ও আলজাজিরা।
মন্তব্য করুন