চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন সাদিয়া

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১:৪১ | আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪:৩৬
আনিকা তাহসিন সাদিয়া। ৩০ বছর বয়সী এই তরুণীর চাকরির অভিজ্ঞতা এক যুগের। শুরুতে ব্যবসা পছন্দ না করলেও স্বামীর সহযোগিতায় এখন নাম লিখিয়েছেন ব্যবসায়ী খাতায়। তবে সাদিয়ার ব্যবসার ক্ষেত্রে তার চাকরির অভিজ্ঞতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। স্কিন ট্রেইনার হিসেবে কাজ করা সাদিয়ার পরবর্তী ব্যবসার চাবিকাঠিই হয়ে ওঠে কসমেটিক্সকে ঘিরে।
সাদিয়ার চাকরির শুরুটা ছিল খণ্ডকালীন, পরবর্তীতে দেশের নামীদামি ব্র্যান্ডে চাকরি করার অভিজ্ঞতা হয়। তবে মহামারি করোনায় সব স্থবির হয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় সাদিয়ার ব্যবসা।
ইউনিলিভারে কর্মরত থাকা অবস্থায় সাদিয়ার আকর্ষণ ছিল কসমেটিকস, হারবাল এর ওপর। সেই আগ্রহ থেকে দেশের বাইরে অনলাইনে দিল্লির এক প্রতিষ্ঠান থেকে হারবাল কসমেটিকস বানানো কোর্স করছেন সাদিয়া।
সাদিয়া বলেন, আমি সেখানে গিয়ে পরীক্ষা দিলে ইন্টারন্যাশনাল হারবালিস্ট নামে একটি খেতাব পেতাম। তবে করোনার জন্য আমার আর যাওয়া হয়ে ওঠেনি। তবে শিগগির আমি সেখানে গিয়ে পরীক্ষাটা সম্পূর্ণ করে ইন্টারন্যাশনাল সার্টিফিকেটটা আনব। যতটুকু শিখেছি তা দিয়েই এখন আমি ঘরোয়া পরিবেশে, শতভাগ হারবাল উপাদান দিয়ে কসমেটিক্সগুলো তৈরি করি। চুলের জন্য হারবাল শ্যাম্পু, হারবাল প্যাক, হারবাল ফেসপ্যাক, ফেস ওয়াশ, ফেস ক্রিম ইত্যাদি পণ্য বাসায় খুব যত্ন করে বানিয়ে তৈরি করি।
নিজের ব্যবসা আড়াই বছরের হলেও ‘পার্লিয়া হারবাল’ নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাদিয়ার একটি পেজ রয়েছে। সেখান থেকে ৭ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে। নিজেদের অফিসেই পণ্য বানানো, প্যাকেজিং ইত্যাদি কার্যক্রম চলে। সাদিয়া জানান, ২০০০ এর বেশি নিয়মিত গ্রাহক রয়েছে তার। দেশের মানুষদের কেমিক্যালযুক্ত পণ্যের প্রতি অভ্যস্ততা কমিয়ে হারবাল কসমেটিকস ব্যবহারের দিকে ধাবিত করাই তার লক্ষ্য বলেন তরুণ এই নারী উদ্যোক্তা।
হেয়ার এবং ফেসপ্যাকগুলো সম্পূর্ণ প্রিজারভেটিভ মুক্ত এবং বাকিগুলোতে কোনো ক্ষতিকারক উপাদান নেই দাবি করে সাদিয়া বলেন, বিএসটিআই-এর অনুমোদনের জন্য আশা করছি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
- বিষয় :
- নারী উদ্যোক্তা