কমবেশি সবাই ত্বকের ও চুলের যত্ন নিলেও শরীরের অন্যান্য অংশের যত্ন নেন না। বিশেষ করে পায়ের যত্ন নেওয়া হয় না বললেই চলে। আবহাওয়ার পরিবর্তন, পুষ্টির অভাব, প্রচুর সাবান ব্যবহার করা, দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকা এবং আরও কিছু কারণে গোড়ালি ফাটে। এছাড়াও চিকিৎসাগত কারণ, ভিটামিনের অভাব, ডিহাইড্রেশন, সঠিক জুতা না পরলেও পা ফাটে। সাধারণত ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতেই পা ফাটা দূর করা যায়। যেমন-

কলার খোসা: কলার খোসায় প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই রয়েছে, যা ফাটা গোড়ালি সারাতে চমৎকার কাজ করে। কলার ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য শুষ্ক এবং ফাটা গোড়ালির চিকিৎসার জন্য উপকারী। এটি ত্বকের কোমলতা পুনরুদ্ধার করতে এবং ত্বক থেকে মৃত কোষ অপসারণ করতে সাহায্য করে।

মধু: মধুতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যে গোড়ালি ফাটা নিরাময়ে কাজ করে।  

লেবুর রস এবং ভ্যাসলিন: অম্লীয় প্রকৃতির লেবুর রস ভ্যাসলিনের সঙ্গে মেশাতে পারলে তা ফাটা গোড়ালির জন্য জাদুকরী কাজ করতে পারে। লেবুর রস শক্ত, শুষ্ক ত্বককে নরম করতে সাহায্য করে।

চালের গুড়া, মধু এবং ভিনেগার
: চালের গুড়া ত্বককে এক্সফোলিয়েট এবং বিশুদ্ধ করতে পরিচিত। যদিও মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসাবে পরিচিত, যা ফাটা গোড়ালি সারাতে সাহায্য করে। চালের আটা, মধু এবং ভিনেগারের সংমিশ্রণ ফাটা গোড়ালির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

শিয়া বাটার: শিয়া বাটারে প্রদাহ বিরোধী এবং ব্যাকটেরিয়ারোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা লালভাব, শুষ্কতা এবং ফাটা গোড়ালি সারাতে কাজ করে। শিয়া বাটার আর্দ্রতা যোগ করতে এবং শুষ্ক ত্বকে আদ্রতাও দিতে পারে।