ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

তিন স্থানে রবীন্দ্র-স্মরণ

তিন স্থানে রবীন্দ্র-স্মরণ

কিশোরগঞ্জ সমকাল কার্যালয়ে গান, আবৃত্তি ও আলোচনা শেষে ফটোসেশনে সুহৃদরা

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২২ | ০১:৫২ | আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২২ | ০১:৫২

কিশোরগঞ্জ

সাইফুল হক মোল্লা দুলু

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮১তম প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে কিশোরগঞ্জ সমকাল সুহৃদ সমাবেশ মনোজ্ঞ আবৃত্তি, সংগীত ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সুহৃদের সাবেক সভাপতি ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক বাদল রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে রবীন্দ্রনাথের জীবন ও সৃষ্টিকর্ম নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন অ্যাডভোকেট নাসিরউদ্দীন ফারুকী, ছড়াকার সিরাজুল ফরিদ, লেখক ও গবেষক জাহাঙ্গীর আলম জাহান, ডা. হোসনা বেগম, অধ্যাপক বদরুল হুদা সোহেল, কবি জীবন তাপস তন্ময়, কবি মাহফুজা আরা পলক, নারীনেত্রী শাহীন সুলতানা ইতি, অপু সাহা প্রমুখ।

নাসির উদ্দীন ফারুকী বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একজন বিশ্বজনীন মানুষ। তিনি তার সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরেছেন।

সিরাজুল ফরিদ বলেন, রবীন্দ্রনাথকে জানতে হবে। জানার জন্য তার রচনার গভীরে প্রবেশ করতে হবে।

জাহাঙ্গীর আলম জাহান বলেন, রবীন্দ্রনাথ চাইতেন বাঙালি মানুষ হয়ে উঠুক। কিন্তু দুর্ভাগ্য, রবীন্দ্রনাথের স্বপ্নের মতো প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠতে পারেনি আমরা। নতুন প্রজন্মকে শুধু জিপিএ ৫ আর গোল্ডেন প্লাসের দিকে ঠেলে দিচ্ছি। মানবিক শিক্ষায় মানুষ করার কথা ভাবছি না।

অধ্যাপক বদরুল হুদা সোহেল বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল বিজয়ের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। ডা. হোসনা বেগম বলেন, একটি জাতিকে কীভাবে নির্মাণ করতে হয় রবীন্দ্রনাথ আমাদের সে শিক্ষাও দিয়ে গেছেন। কবি মাহফুজা আরা পলক রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি করে বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিশ্ব সমাজে মর্যাদার আসনে নিয়ে যান। নারী আলোচনার পর রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন- সুহৃদ জয়িতা পাল, আবৃত্তি করেন মশিউর রহমান কায়েস ও জাহাঙ্গীর আলম জাহান। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সুহৃদ উপদেষ্টা সাইফুল হক মোল্লা দুলু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুহৃদ সাধারণ সম্পাদক আসলামুল হক আসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদক, কিশোরগঞ্জ

ফরিদপুর

তামান্না আক্তার

২২ শ্রাবণ সন্ধ্যায় শহরের আলীপুরে শাপলা সড়কে সমকাল অফিস মিলনায়তনে নানা আয়োজনে কবিকে শ্রদ্ধা জানান আয়োজক, অতিথি ও শিল্পীরা। কবির কালজয়ী কবিতা, গান, অনুগল্প, ছোটগল্প ও সাহিত্য আলোচনা অংশ বিশেষ দিয়ে শুরু হয় কবির প্রয়াণ দিবসের অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রেসালাতুল নাহারের সভাপতিত্বে সেখানে রবীন্দ্রনাথের জীবন ও কর্মের ওপর বিশদ আলোচনা করেন ফরিদপুরের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সুহৃদ উপদেষ্টা প্রফেসর আলতাফ হোসেন। কবির বেশ কিছু দুর্লভ ছবি সভাস্থলে প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সমকাল প্রতিনিধি হাসানউজ্জামান, সঞ্চালনা করেন ফরিদপুরের সুহৃদ সাধারণ সম্পাদক কাজী সবুজ। শুরুতে কবির জীবনাদর্শ নিয়ে আলোচনা করেন সুহৃদের অর্থ সম্পাদক প্রভাত সিং ও সুহৃদ রওশনারা দীপ্তি। রবীন্দ্রনাথের লেখা বিভিন্ন সাহিত্যকর্মের ওপর আলোকপাত করেন অতিথি ও সুহৃদরা। আলোচনায় ও সাংস্কৃতি পর্বে অংশ নেন গোবিন্দ বাগচী, প্রকাশ কুমার বিশ্বাস, সুহৃদ প্রভাত সিং, রওশনারা দীপ্তি, রিনা পারভিন প্রমুখ। কোরাস সংগীতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আয়োজন।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ফরিদপুর

ঈশ্বরগঞ্জ

মোশাররফ হোসেন ফারুক

বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবসে স্মরণসভা ও বর্ষার কবিতা পাঠের আয়োজন করে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ সুহৃদ সমাবেশ। একই সঙ্গে সংগঠনকে আরও গতিশীল করতেও আলোচনা করা হয়। গত ৭ আগস্ট বিকেলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের তৃতীয় তলায় বৈঠক করেন সুহৃদরা। সুহৃদ মামুন মাশরেকী কবিগুরুকে নিয়ে আলোচনা করেন সুহৃদ উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক ও বিশিষ্ট সংগঠন আবদুল জব্বার।

কবিতা পাঠ করেন সুহৃদ এহসানুল হক, মু. মস্তাকীম প্রমুখ। 'সোনার তরী' কবিতা সুহৃদ মু. মস্তাকীম এবং কবির 'নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে' কবিতা পাঠ করেন সুহৃদ মোশাররফ হোসেন ফারুক। কবিতা পাঠ ও আলোচনা শেষে সংগঠনকে গতিশীল করতে মুক্ত আলোচনা সভা করেন সুহৃদরা। সিদ্ধান্ত হয়, প্রতি মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার সুহৃদরা বৈঠকে বসবেন। ১২ আগস্ট সুহৃদরা আনন্দ ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ভ্রমণ ও আনন্দ আয়োজনে সব সুহৃদ উচ্ছ্বসিত হন। আনন্দ ভ্রমণের বিভিন্ন কাজ ভাগাভাগি করে নেন সুহৃদরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা মোস্তাফিজুর রহমান, সুহৃদ রাকিবুল প্রমুখ।

সাধারণ সম্পাদক, ঈশ্বরগঞ্জ

আরও পড়ুন

×