- বিনোদন
- বাচ্চাটা ভয় পাচ্ছে, আপনারা কি পাগল, বলতে বলতে বেরিয়ে যান পরী
বাচ্চাটা ভয় পাচ্ছে, আপনারা কি পাগল, বলতে বলতে বেরিয়ে যান পরী

‘আমার বাচ্চাটা ভয় পাচ্ছে, আপনারা কি পাগল...। প্লিজ এভাবে ভিড় করবেন না, ক্যামেরার আলো বাচ্চার চোখে ধরবেন না’ ক্ষুব্ধ ও ক্ষিপ্ত হয়ে গতকাল কথাগুলো বলছিলেন পরীমণি। কিন্তু কিন্তু সামনে ক্যামেরা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ফুটেজ সংগ্রহকারীদের কেউ কথাগুলো শুনেননি। পরীর ভিডিও পেতে মরিয়া হয়েই হামলে পড়ছিলেন নায়িকার উপর। ফলাফল রাগে ক্ষোভে পরীমণি তড়িঘড়ি স্থান ত্যাগ করেন।
বুধবার রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে ‘মা’সিনেমার একটি বিশেষ প্রদর্শনীতে গিয়েছিলেন ঢাকাই ছবির ওই নায়িকা। প্রদর্শনী শেষে বের হওয়ার সময় কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ইউটিউবাররা পরীমণির পথ আটকে ধরেন। এ সময় লাইট ক্যামেরার প্রচণ্ড শোরগোলে ভয় পেয়ে যায় পরীমনি-শরীফুল রাজের সন্তান রাজ্যও।
সরেজমিনে দেখা যায়, মা সিনেমা দেখা শেষ করে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে বের হোন পরী। কিন্তু তিনি বের হতে না হতেই ইউটিউবাররা ফুটেজ নিতে ধাক্কা-ধাক্কি শুরু করে দেন। অনেকেই ফ্লোরে পড়েও যেতে দেখা যায়। পরিস্থিতে স্বাভাবিক করতে গণমাধ্যমকর্মীদের কয়েকজনকে এগিয়ে এলেও তা সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে পরীমণি সন্তানকে নিয়ে তড়িঘড়ি স্থান ত্যাগ করেন।
বৃহস্পতিবার এই তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করে পরীমণী স্ট্যাটাসও দেন। তাতে এই নায়িকা লেখেন, ‘ আমি একসাথে অনেক কষ্ট আর অনেক আনন্দ নিয়ে বাসায় ফিরলাম ‘মা’ সিনেমা দেখতে গিয়ে! কষ্ট পেয়েছি, কারণ আমার বাচ্চাটা অনেক ভয় পেয়েছে। রাজ্য যখন অনেক ছোট তখন থেকেই আমি ওকে নিয়ে হলে গিয়ে ছবি দেখেছি অনেকবার। শো শেষে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেছি সব সময় সুন্দর-সুশৃঙ্খল পরিবেশে। কিন্তু আজকে এমন উচ্ছৃঙ্খল অবস্থা তৈরি করল কেউ কেউ, তাতে বাজেভাবে আমার বাচ্চাটা ভয় পেল।’’
পরীমণি বলেন, ‘কত কাছের মানুষজনকে দাওয়াত করে একটা হ্যালোও করতে পারি নাই তাদের সাথে আমি! অথচ আমি আপনাদের সবার সাথে সিনেমা দেখবো, কথা বলবো বলেই তো গিয়েছিলাম। হল থেকে বেরোনোর সিঁড়িটার মুখে এত এত ক্যামেরা আর লাইট দিয়ে আটকে রাখলেন কেউ কেউ। আমি বারবার রিকোয়েস্ট করলাম বের হওয়ার পথটা ছেড়ে দেওয়ার জন্য।’
পুরো বিষয়টায় সহনশীল থাকা যেত উল্লেখ করে পরীমণি বলেন, আপনাদের মধ্যে অনেকেই বলছিল আমাকে পথ ছেড়ে দিয়ে লবিতে ক্যামেরা সেট করার জন্য। এই নিয়ে আপনারা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা শুরু করলেন, যেটাতে বাচ্চাটা ভয় পেয়ে গেল। আপনারা বাচ্চাটার জন্য একটু সহনশীল হতে পারতেন। কেন যে এমন করলেন! আর খুশি এই জন্য যে আপনাদের মধ্যেই কত মানুষ আমাকে মন থেকেই কত ভালোবাসেন, কেয়ার করেন। থ্যাংক ইউ।’
বুধবার সন্ধ্যায় পরীমণি ইউটিউবারদের দ্বারা রীতিমতো হেনস্তার শিকার হয়েছেন, এই ঘটনার বিশদ নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন কণ্ঠশিল্পী ও কথাসাহিত্যিক লুৎফর হাসানও।
মন্তব্য করুন