- বিনোদন
- ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সব থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। বুধবার রাতে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলীয় প্রধানের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ নির্দেশ দেন। এ সময় সম্মেলনের দীর্ঘ সাত মাস পরও কোনো থানা ও ওয়ার্ড কমিটি ঘোষণা না হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান শেখ হাসিনা।
দলীয় প্রধানের নির্দেশের পর রাতেই শেখ বজলুর রহমান ও এস এম মান্নান কচি কমিটি গঠনে দায়িত্বপ্রাপ্ত নগর নেতাদের ফোন করেন। এ সময় যে নেতারা এখনও থানা ও ওয়ার্ড কমিটির খসড়া প্রস্তুত করে জমা দেননি, ৪৮ ঘণ্টার আগেই তা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
মহানগরের উত্তর অংশে তৎপরতা শুরু হলেও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের থানা ও ওয়ার্ড কমিটি কবে নাগাদ হবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। এ বিষয়ে গতকাল রাতে মহানগর দক্ষিণের দায়িত্বশীল কোনো নেতার বক্তব্যও পাওয়া যায়নি।
মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের আওতায় ২৬ থানা, ৬৪ ওয়ার্ড, একটি ইউনিয়ন ও ৮৮৪ ইউনিট কমিটি রয়েছে। দক্ষিণের আওতায় রয়েছে ২৪ থানা, ৭৫ ওয়ার্ড ও ৬১০ ইউনিট কমিটি। দীর্ঘদিনেও মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের থানা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলো না হওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীর মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
গত বছরের অক্টোবরের মধ্যে দুই অংশের সব থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট সম্মেলন শেষ করা হয়। সম্মেলনস্থলেই মহানগর উত্তরের ৮০২ এবং দক্ষিণের ৬১০ ইউনিট কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার পাশাপাশি সিংহভাগ ইউনিট কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়। কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে দলের নীতিনির্ধারক নেতারা তাগাদা ও হুঁশিয়ারিও দেন। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলীয় ফোরামের সভায় সাত দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। সেই সময়সীমাও পেরিয়ে গেছে।
জানা যায়, ঢাকা মহানগর উত্তরে মাত্র তিনটি থানা ও এসব থানার সব ওয়ার্ডের কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামের খসড়া করে জমা দেওয়া হয়েছে। বাকি সিংহভাগ থানা ও ওয়ার্ড কমিটি এখনও গঠনই হয়নি।
এদিকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের থানা এবং ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠায় এ নিয়ে জটিলতা চলছে। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্য এবং অর্থের বিনিময়ে বিতর্কিত, নানা অপরাধে যুক্ত ও অনুপ্রবেশকারীদের পদ দেওয়ার চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ অবস্থায় বিতর্কের ভয়ে দক্ষিণ অংশের নেতারা এসব কমিটি প্রকাশ্যে আনার সাহস পাচ্ছেন না।
মন্তব্য করুন