মাগুরার সদর উপজেলার মনিরামপুর গ্রামে কৃষক আতর মোল্লা (৪৫) খুন ও সহিংসতার ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে স্থানীয় বেরইল পলিতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানও রয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে মাগুরা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কলিমুল্লাহ। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বেরইল পলিতা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা, সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মহব্বত আলী, সমর্থক মুরাদ মোল্যা, ফারুক মোল্যা, তরিকুল ইসলাম, আবু হুরাইরা, মহিদুল্লাহ ফকির, জাহিদ হাসান, আশরাফুল হক লাভলু, ফাতুয়ার রহমান ও আমিরুল ইসলাম। তাঁদের বিরুদ্ধে শত্রুজিৎপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় শুক্রবার দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেছেন।

জানা গেছে, এলাকার সামাজিক ও রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে চেয়ারম্যান এনামুল হক রাজা ও সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মহব্বত আলীর সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। স্থানীয়ভাবে মনিরামপুর গ্রামে তাঁদের দুই পক্ষের নেতৃত্ব দেন গ্রাম্য মাতবর মুরাদ মোল্লা ও আব্দুল মান্নান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার মনিরামপুর গ্রামে চেয়ারম্যানের সমর্থকরা মহব্বত আলীর সমর্থক আতর আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষ সহিংসতায় জড়ায়। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১১টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর হয়। কিছু বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। জেলা পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার ১১ জনসহ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে পুলিশ দ্রুত বিচার আইনে মামলা করে। এ মামলায় মাগুরাসহ যশোরের বাঘারপাড়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।