- শিক্ষা
- প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারছেন না শতাধিক শিক্ষক
প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করতে পারছেন না শতাধিক শিক্ষক

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) মাধ্যমে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও বিভাগ পরিবর্তনের কারণে ইনডেক্স ট্রান্সফার করতে পারছেন না শতাধিক শিক্ষক। এ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে ঘুরেও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না শিক্ষকরা। উল্টো হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা।
জানা যায়, বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় কর্মরত ইনডেক্সধারী শিক্ষকরা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের জন্য এনটিআরসিএর তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে বিধিমতে ইনডেক্স নম্বর দিয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষ তাদের এমপিওভুক্ত বিভিন্ন মাদ্রাসায় চূড়ান্ত নিয়োগের সুপারিশ করে। তবে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগের ইনডেক্স নম্বর নিয়ে যোগদান করতে পারছেন না শিক্ষকরা।জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ ধরনের সমস্যা সমাধানে ২০২০ সালের ১৬ জুলাই পরিপত্র জারি করে সংকট দূর করেছে। এ ছাড়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির নীতিমালা ও জনবল কাঠামো-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ সালে সংশোধিত) মাদ্রাসার অনুচ্ছেদ নং ১১.৮-এ বলা আছে, 'ইনডেক্সধারী শিক্ষক-কর্মচারী এক ধরনের প্রতিষ্ঠান হতে অন্য প্রতিষ্ঠানে সমপদে সমস্কেলে চাকরিতে যোগদান করলে পূর্ব অভিজ্ঞতা গণনাযোগ্য হবে।'
শিক্ষকদের দাবি, ইনক্রিমেন্ট বহাল রেখে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ডাটাবেস সফটওয়্যারটি আপডেট করতে হবে। অনলাইনে ইনডেক্স ট্রান্সফারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা মাদ্রাসা অধিদপ্তর থেকে একটা প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে যে কীভাবে শিক্ষকরা আবেদন করলে আগের ইনডেক্স বহাল থাকবে।
ইনডেক্স জটিলতাসংক্রান্ত বিষয়গুলো নিয়ে গঠন করা কমিটির আহ্বায়ক এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও উন্নয়ন) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা এরই মধ্যে বিষয়টি অবগত হয়েছি। আমি গত এক সপ্তাহ দেশের বাইরে ছিলাম। দেশের বাইরে যাওয়ার আগে এ নিয়ে একটা সভা করেছিলাম। মিটিংয়ে এ সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
'মিটিংয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে'- জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষকদের সমস্যাটি এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। এরই মধ্যে জানানোও হয়েছে। আশা করছি, দু-তিন সপ্তাহের মধ্যেই আমরা সমাধানে আসতে পারব।
মন্তব্য করুন