- সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয়
- পদ্মা সেতুতে বেগ-আবেগ-স্বস্তি সবই আছে
সাক্ষাৎকার: মতিয়া চৌধুরী
পদ্মা সেতুতে বেগ-আবেগ-স্বস্তি সবই আছে

অগ্নিকন্যাখ্যাত মতিয়া চৌধুরী শেরপুর-২ আসনের সাংসদ, ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। দীর্ঘদিন খাদ্যমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রী সংসদ-ডাকসুর নির্বাচিত জিএস এবং ইডেন কলেজ ছাত্রী সংসদের নির্বাচিত ভিপি। ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
সমকাল: বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধন হচ্ছে আজ। এ বিষযে আপনার অনুভূতি জানতে চাই।
মতিয়া চৌধুরী: এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা- সেতুর বিশালত্বের দিক দিয়ে, পদ্মার শক্তিমত্তার দিক দিয়ে এবং ইতিহাসের দিক দিয়ে। এবং পদ্মা সেতু করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন তা-ও ইতিহাস। এটা দেশপ্রেম ও আত্মমর্যাদাবোধের স্মারক। দেশের মানুষের প্রতি যদি আস্থা-ভালোবাসা থাকে তাহলেই কেবল এ সেতু নির্মাণ করা সম্ভব। একইরকম ঘটনা ঘটেছিল- যদিও অন্য বিষয় নিয়ে- মিসরে, গামাল আবদুল নাসেরের আসওয়ান ড্যাম নিয়ে। সেই সময় একটা বৃহৎ শক্তি নানা শর্ত দিয়েছিল নাসেরকে, কিন্তু নাসের তাতে রাজি হননি। সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস, অসীম সাহস এবং জনগণের আস্থা নিয়ে নাসের যেমন সফল হয়েছেন, শেখ হাসিনাও সফল হয়েছেন। পদ্মা সেতু দিয়ে যে যানবাহন চলবে, যে যাত্রীরা চলবেন প্রত্যেকে এ গৌরব ও গর্ব অনুভব করতে পারবেন।
সমকাল: আপনি বৃহৎ শক্তি বলতে আমেরিকার কথা বলছেন?
মতিয়া: আসলে আমরা আমেরিকাকে বৃহৎ শক্তি বলি। কিন্তু এরা বৃহত্ত্ব দেখায় কী দিয়ে? সারা পৃথিবী লুটপাট করে তারা হয়ে গেছে বৃহৎ শক্তি! দস্যুতা যদি শক্তি হয় তাহলে এরা বৃহৎ শক্তি। ভারতবর্ষে আসতে গিয়ে ঝড়ে পথ হারিয়ে আমেরিকা আবিস্কার করেছিলেন কলম্বাস; কলম্বাসের সেই দুঃসাহসিক অভিযানকে আমি খাটো করে দেখছি না। কিন্তু তাঁর ধন-রত্ন কি বৈধ ছিল? আমরা অনেকের ওপর এরকম বৃহত্ত্ব আরোপ করি; কিন্তু তাদের বিত্ত বলেন, বৈভব বলেন এগুলো আমাদের মতো দেশকে লুণ্ঠন করেই হয়েছে। ইতিহাসের একটা শিক্ষা হলো, ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। এ শক্তিমদমত্ত দেশগুলো টাকা-পয়সার দেমাগে যাদের মাটিতে পা পড়ে না তারা শিক্ষা নেবে বলে মনে হয় না, আমি জানি। যখন সুযোগ পাবে তারা বেকায়দায় পড়া দেশগুলোর লেজ মোচড়াতে শুরু করবে, কান ধরতে চেষ্টা করবে; তবুও আশা করি, এ ঘটনা থেকে কিছু শিক্ষা হলেও তারা নেবে।
সমকাল: কেউ কেউ বলছেন নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু করার সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর ওপর আমেরিকার যে মাতব্বরি তার বিরুদ্ধে কিছুটা হলেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। আপনি কী তা মনে করেন?
মতিয়া: দেখুন, তারা নিজেরাই নিজেদের গালে চড় খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। আমরা কিন্তু কারও সঙ্গে অসৌজন্যমূলক ব্যবহার করিনি বা করতে যাইনি। কিন্তু আমার দেশের স্বার্থ আমাদের চাইতে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার চাইতে অন্য কেউ তাদের কয়টা টাকা আছে বলে ভালো বুঝবে তা আমরা মনে করি না। তাই ওদের ধৃষ্টতাপূর্ণ চিন্তা আমরা মানতে পারি না। আমাদের নেত্রী খুব স্বাভাবিকভাবেই এবং সঠিকভাবেই বৃহস্পতিবার সংসদে পদ্মা সেতুর জন্য সৃষ্টিকর্তা এবং এদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। দেশের মানুষ যেভাবে বিভ্রান্ত না হয়ে নেত্রীর পেছনে একাট্টা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তার জন্য তাঁরা ধন্যবাদ প্রাপ্য। বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা মুক্তিযুদ্ধের সময়ও হয়েছিল; শরণার্থী শিবিরে চেষ্টা হয়নি, যাতে আমরা স্বাধীনতা ছাড়া অন্য যে কোনো কিছুতে রাজি হই? কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়েছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েও দেশটার স্বাধীনতা ঠেকাতে পারেনি। সেখান থেকেও তো ওরা কোনো শিক্ষা নেয়নি। তবে আমরা সামনের দিকে তাকাতে চাই, শান্তির পথে এগোতে চাই; কারও প্রতি আমাদের বিদ্বেষ নেই। ১৯৯৯ সালে যেদিন কিসিঞ্জারকে দিয়ে নেত্রীকে ইউনেস্কোর হউফেট বউনি শান্তি পুরস্কার দেওয়ানো হয় সেদিনই তো ওরা পরাজয় শিকার করে নেয়।
সমকাল: আপনি কথিত বৃহৎ শক্তির গালে চড় খাওয়ার কথা বললেন। পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রেও আমরা দেখছি, যারা ২০১১-১২ সালে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুর্নীতি নিয়ে হৈচৈ করেছিল, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব নয় বলে মিডিয়ায় কথা বলতেন, লেখালেখি করেছেন, তাঁদেরই অধিকাংশ আজকে পদ্মা সেতুর সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলছেন। এমনকি শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাঁদের ব্যাপারে কী বলবেন আপনি?
মতিয়া: তাঁদের নিয়ে সেই কৌতুকটাই আমি বলতে চাই- মেন ইজ মর্টাল; মানুষ মাত্রই ভুল; অর্থাৎ অনুবাদ যে করল সেটাও ভুল। তাঁদের তো উচিত ছিল আগে নিজের ভুলটা স্বীকার করা; কিন্তু সেটা তাঁরা করেননি। তাঁরা হয়তো মনে করছেন আমাদের পিঠ চাপড়ালেই সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে আমরা কারও সঙ্গে বৈরী মানসিকতা নিয়ে চলব না। গ্রামে একটা কথা আছে- চাতিলা গেছে গেছে কুত্তার ঈমান তো চিনছি, যা হয়ে গেছে গেছে, লোকগুলোকে তো চিনলাম। এটাও একটা বাস্তব কথা। নেত্রী কোনো একটা প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিয়েছিলেন, যেহেতু তারা বলেছিল গ্রামের গরিব মানুষকে নিয়ে আমরা কাজ করব। নেত্রী নিয়মের ভেতরে থেকেই এ সুবিধা দিয়েছিলেন। কিন্তু আজকে তারা টাকা তুলে নিয়ে গেছে সেটা কি ঠিক হয়েছে? এটা কি বৈধ পথে নিয়ে গেছে? আর পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রের জবাব কিন্তু দেওয়া হয়ে গেছে; কাজের মধ্য দিয়েই তা হয়েছে। গালি দেওয়া বা গলাবাজি এসবের প্রয়োজন নেই। যেভাবে তারা আঘাত করতে চেয়েছিল, নেত্রী কিন্তু সেখানে কোনোরকম অসৌজন্যমূলক কিছু করেননি। আন্তর্জাতিকভাবেও কোনোরকম রূঢ় আচরণ তিনি করেননি। ১৯৯৯ সালে তিনি কিন্তু পারতেন বলতে যে কিসিঞ্জারের হাত থেকে শান্তি পুরস্কার নেব না। তা নেত্রী বলেননি। যখনই এ সেতু নিয়ে কথা উঠবে তখনই কারা বাধা দিয়েছিল, কেন বাধা দিয়েছিল ইত্যাদি কথা আসবে। যারা বাধা দিয়েছিল তাদের নাম কি আসেনি? আসছে তো। সংসদেও এসেছে।
সমকাল: আচ্ছা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার পদ্মা সেতুর উদ্বোধন নিয়ে ব্যস্ত অথচ সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষ বন্যায় মরছে। আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
মতিয়া: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো সেখানে গেছেন, আমাদের দল সেখানে কাজ করছে, সরকার কাজ করছে। বন্যায় কষ্ট তো হচ্ছেই; তবে কোনো মানুষ কী বলেছে, সরকার আমাদের খোঁজখবর নেয়নি? আমি তো কোনো টেলিভিশনে বা পত্রিকায় এমন কিছু দেখিনি। আর আওয়ামী লীগকে ত্রাণ দেওয়া শেখাতে হবে না। ত্রাণের ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ডক্টরেট দাবি করতে পারে। আওয়ামী লীগের কর্মীদের বলা লাগে না; তাঁরা তাঁদের মনের তাগিদে, মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে যে কোনো দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ান। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী-গুণগ্রাহীরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এটাই সত্য। ১৯৯১ সালে উড়িরচরে শেখ হাসিনাকে কে যেতে বলেছিলেন? তিনি নিজে থেকেই সেখানে গেছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। জাহাজ নয়, সাধারণ ট্রলারে গিয়েছিলেন তিনি সেখানে। যখন ফিরে আসছিলেন, সাগরের সঙ্গে নদীর একটা বাফার জোন থাকে, সেই বাফার জোনে ট্রলারের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেল। তাঁর সঙ্গে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁরা অনেকেই ভীষণ নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন, কিন্তু নেত্রী ছিলেন ভাবলেশহীন। তারপর কোনো রকমে ঠিক করে কূলের কাছে এসে তেলও শেষ হয়ে গেল। বাকি পথটা আসতে হয়েছে সাধারণ নৌকার মতো করে। কোনোদিন কোনো প্রতিকূলতার মুখে তাঁকে ঘাবড়াতে দেখিনি।
সমকাল: নিজ অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে দলের ভেতরেও নেতিবাচক তৎপরতা ছিল- এটা সম্প্রতি ড. মসিউর রহমান তাঁর একাধিক বক্তব্যে বলেছেন। তিনি বলেছেন, দলের কেউ কেউ তাঁকে বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাব মেনে দেশ ছেড়ে চলে যেতেও বলেছিলেন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মূল্যায়ন কী?
মতিয়া: শুনুন, এটার ভুক্তভোগী তো শেখ হাসিনা নিজে। কাজেই মূল্যায়নের বিষয়টা তাঁর ওপরই নির্ভর করে। দুঃখের সাধ্য নেই দুঃখ দেয় শেখ হাসিনাকে। কাজেই তিনি এজন্য কারও ওপর রাগান্বিত হবেন বা প্রতিশোধপরায়ণ হবেন এটা তাঁর স্বভাবে নেই। তিনি হয়তো কাউকে দিয়ে একটা কাজ হচ্ছে না তাঁকে বাদ দিতে পারেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ণ কখনও হন না। যেমন জিয়াউর রহমান যখন মারা গেলেন, তখন তিনি ঢাকায় ফেরার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিলেন। তিনি বলতে পারতেন, লাগুক গোলমাল একটা। কিন্তু তা না বলে বললেন, সাংবিধানিক ধারা বজায় থাকুক। তখন তো তিনি সদ্য দেশে এসেছেন, এখনকার মতো অভিজ্ঞ ছিলেন না। তারপরও সঠিক প্রতিক্রিয়াই তিনি দেখিয়েছিলেন।
সমকাল: কেউ কেউ বলছেন পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্পগুলো চালু হলে তা আওয়ামী লীগকে ভোটের রাজনীতিতে বিএনপির চেয়ে এগিয়ে থাকতে সহায়তা করবে, এটা ভেবেই বিএনপি এগুলোর বিরোধিতা করছে। আপনিও কি তেমনটা মনে করেন?
মতিয়া: এটা তো অঙ্কের হিসাব। ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে, সময়টা এখন যা লাগে তার চেয়ে অনেক কম লাগবে। একটা সময় ছিল আমাদের কাছে সময়ের কোনো মূল্য ছিল না। এখন তা নয়। কত মসৃণ ভ্রমণ। এক বাসে উঠে আপনি গন্তব্যে চলে যাবেন। আগে তো ফেরিতে নামতে হতো, ফেরিতে সময় যেত। ফেরিতেই ঘণ্টা তিনেক মতো লাগতো। আবার কখনও কখনও ফেরির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষাও করতে হতো। ওই যে যাযাবরের একটা কথা আছে না- বিজ্ঞান দিয়েছে বেগ কেড়ে নিয়েছে আবেগ; পদ্মা সেতুতে বেগও আছে, আবেগও আছে, আবার মানুষের স্বস্তিও আছে। সেতু হলে সকাল বেলা পঞ্চগড় থেকে বাসে উঠে রাতে বরগুনায় গিয়ে আপনি ভাত খেতে পারবেন। যাযাবর আজকে বেঁচে থাকলে বেগ আর আবেগের সমন্বয়টা দেখতে পেতেন।
সমকাল: অনেকের মত হলো, আওয়ামী লীগ উন্নয়নে যতটা মনোযোগী জনগণের রাজনৈতিক অধিকার- যেমন কথা বলার স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার ইত্যাদি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ততটা মনোযোগী নয়। আপনার জবাব কী?
মতিয়া: দেখুন, লন্ডনে এক জায়গায় হাইড পার্ক করা আছে, যেখানে বক্তৃতা করলে কাউকে কোনো বাধা দেওয়া হয় না। টক শো ইত্যাদির মাধ্যমে শেখ হাসিনা সারা বাংলাদেশেই হাইড পার্ক তৈরি করে দিয়েছেন। বলতে দেওয়া হয় না এটা বললেই তো হবে না। আবার এসব দাবির জবাবও দেওয়া যায় না। যদি কিছু বলতে যাই বলা হবে ফ্রিডম অব স্পিচ কেড়ে নিচ্ছে। অতএব বলতে বলতে ক্লান্ত হয়ে পড়ূক আমরা দেখি। আমাদের কাজ মানুষের সেবা করা, বাহাস করা নয়। শুধু কথামালার রাজনীতি দিয়ে কিছু হয় না। আওয়ামী লীগ কাজও করে, কথাও বলে।
সমকাল: শেষ প্রশ্ন। আমরা জানি যে পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রজেক্টগুলোর একটা প্রভাব ভোটের রাজনীতিতে পড়বে। কিন্তু অনেকের আশঙ্কা, আওয়ামী লীগ মাঠ পর্যায়ে যেভাবে বহুধাবিভক্ত, পরস্পরবিরোধী গ্রুপ মাঝেমধেই সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে- এমন অবস্থায় দলটি ওই প্রভাব কাজে লাগাতে পারবে না। আপনি কী মনে করেন?
মতিয়া: এখানে একটা কথাই বলব, যতক্ষণ শেখ হাসিনার হাতে দেশ পথ হারাবে না বাংলাদেশ। আর তিনি তো এগুলো দেখে অভ্যস্ত। সেই ৬ দফার সময়ে, মুক্তিযুদ্ধে এসব চেহারা অনেক দেখেছেন তিনি। একটা প্রবচন আছে কাজির বাড়ির বিড়ালটারও তিন পারা সিপারা মুখস্থ আছে। এসব তিনি ছোটবেলা থেকে দেখে আসছেন। তিনি বহুদর্শী। ভেতরে থেকে দেখেছেন, যন্ত্রণা সয়ে দেখেছেন, আবার সুখের দিনে স্তাবকদেরও দেখেছেন। শোনেন, একটা বই আছে না হাউ আয়রন ইজ স্টিলড; শেখ হাসিনা সেই কাঁচা লোহা থেকে ইস্পাতে পরিণত হয়েছেন।
সমকাল: আপনাকে ধন্যবাদ সময় দেওয়ার জন্য।
মতিয়া: আপনাকেও ধন্যবাদ
মন্তব্য করুন