সর্বজনীন পেনশনে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে এমওইউ

ছবি: সংগৃহীত
সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৩ | ১৭:৫২
সর্বজনীন পেনশনে প্রগতি স্কিমের আওতায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের প্রতিষ্ঠানভিত্তিক অংশগ্রহণ নিশ্চিতে করতে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এবং যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের মধ্যে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সমঝোতা স্বাক্ষরিত হওয়ায় প্রগতি স্কিমের মাধ্যমে যেকোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন করে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের জন্য পেনশন হিসাব পরিচালনা করতে পারবে। এ স্কিমের অধীনে ২ হাজার, ৩ হাজার, ৫ হাজার ও ১০ হাজার টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানভিত্তিক অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে চাঁদার অর্ধেক প্রতিষ্ঠান এবং অর্ধেক কর্মীর দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যৌথ-মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর দেশের বিভিন্ন ধরনের যৌথ ও একক কোম্পানি এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন দিয়ে থাকে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি ২ লাখ ৮৭ হাজার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে রেজিস্ট্রেশন দিয়েছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরটি হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রগতি পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করা অনেক সহজ হবে।
সমঝোতা স্মারকে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী চেয়ারম্যান কবিরুল ইজদানী খান এবং যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের নিবন্ধক মো. আবদুছ সামাদ আল আজাদ। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ সচিব ড. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মালেকা খায়রুন্নেছা, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জনাব সুলেখা রানী বসু, জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য মো. গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
ইতোমধ্যে প্রায় ১৬ হাজার বাংলাদেশি সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করেছেন। এর ফলে কর্তৃপক্ষের কোঘাগারে জমা হয়েছে প্রায় ১৭ কোটি টাকা। এর মধ্য জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ১১ কোটি ৩১ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করেছে।
এর আগে, চলতি বছরের ১৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের শুভ উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের দিন থেকেই তা সবার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। এক্ষেত্রে চার শ্রেণির জনগোষ্ঠীর জন্য চার ধরনের পেনশন স্কিম রয়েছে। এগুলো হচ্ছে– বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি’, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা’, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ‘প্রবাস’ এবং দেশের নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য ‘সমতা’।
আইন অনুযায়ী প্রগতি স্কিমের আওতায় প্রতিষ্ঠানভিত্তিক অংশগ্রহণের সুযোগ থাকলেও শুরুতে তা পেনশন কর্তৃপক্ষের সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে সম্প্রতি এটি যুক্ত করা হয়েছে। এরপরই যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হলো। এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে পেনশন কর্তৃপক্ষ বলেও জানা গেছে।