ভোগান্তির শেষ নেই মনোহরদী উপজেলার চালাকচর-মাস্টারবাড়ি সড়কের আট কিলোমিটার অংশে। এই সড়কে রয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ।
বৃষ্টি হলে এসব গর্তে জমে যায় পানি। এতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সড়কটি। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিনেও সড়কটি সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

মনোহরদী উপজেলার চালাকচর-মাস্টারবাড়ি সড়ক দিয়ে প্রতিদিনই চলাচল করে অটোরিকশা, মোটরবাইক, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। এই সড়ক দিয়ে চালাকচর বাজার, বীরগাঁও চৌরাস্তা বাজার, দরগার বাজার, মাস্টারবাড়ি বাজার, কটিয়াদী বাজারে যাতায়াত করেন স্থানীয়রা। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় দিন দিন বেড়ে চলেছে জনগণের ভোগান্তি।

সরেজমিন দেখা গেছে, শুরু থেকে পাশের উপজেলা কটিয়াদীর সীমান্ত সড়কটি পর্যন্ত সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় ভাঙাচোরা ও খানাখন্দে ভরা। কিছু কিছু জায়গা থেকে পিচ উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে একাধিক গর্তের। ভোগান্তি নিয়েই এই সড়ক দিয়ে চলাচল করেন অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ। নিয়মিত যাতায়াত করতে হয় চরমান্দালিয়া ইউনিয়নের পীরপুর উচ্চ বিদ্যালয়, পীরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভাটিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডোমনমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বীরগাঁও দাখিল মাদ্রাসাসহ বেশ কিছু স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম, ডলি আক্তার, সোনিয়া, হোসনা বেগম জানায়, দীর্ঘদিন এই সড়ক ভাঙাচোরা অবস্থায় রয়েছে। বেহাল সড়ক দিয়ে রিকশায় করে স্কুলে যেতে ভাড়া লাগে বেশি। অনেক সময় কোনো যানবাহন যেতে চায় না এই সড়ক দিয়ে। বেশিরভাগ সময়ই হেঁটে চলাচল করতে হয় তাদের।

জানা গেছে, মনোহরদী ও কটিয়াদী উপজেলার কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিভিন্ন বাজারে নেওয়ার জন্য রাস্তাটির গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ দীর্ঘদিনেও সংস্কার করা হচ্ছে না। এ কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

অটোরিকশাচালক তারা মিয়ার ভাষ্য, পাঁচ মিনিটের রাস্তা পার হতে সময় লাগে ২৫ মিনিট। একবার গেলে এই সড়ক দিয়ে আর যেতে মন চায় না। কিন্তু পেটের দায়ে এই ভাঙা সড়ক দিয়েই রিকশা চালাতে হয়। সড়কটি যেন দ্রুত সংস্কার করা হয় সেই দাবি তাঁর।

মনোহরদী উপজেলা প্রকৌশলী মীর মাহিদুল ইসলাম বলেন, সড়কটির উন্নয়নে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই দরপত্র আহ্বান করা হবে।
তবে কবে নাগাদ সেটি হতে পারে তা বলতে পারেননি তিনি।