বন্যায় বিধ্বস্ত দুই সেতুর কাজ চলছে ধীরগতিতে

ছাতক-দোয়ারাবাজার ভায়া সুনামগঞ্জ সড়কে ঝুঁকি নিয়েই যানবাহন চলাচল করছে। ভয়াবহ কন্যায় দোয়ারাবাজার এলাকায় দুটি সেতু বিধ্বস্ত হলেও পুনর্নির্মাণ করা হয়নি। যে কারণে প্রতিদিনই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসী ও সড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীদের।

উপজেলার পানাইল এলাকায় বিধ্বস্ত সেতু নির্মাণের আগে বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে নোয়াগাঁওয়ে বিধ্বস্ত সেতুর পাশেই নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হলেও নির্মাণকাজে ধীরগতির অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। জানা গেছে, ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নোয়াগাঁওয়ে সেতুর নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। প্রথম ঠিকাদার চুক্তি বাতিল করে চলে যাওয়ায় পরে অন্য ঠিকাদার দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে।

গত বছর প্রথম দফা বন্যায় পানির তোড়ে ভেসে যায় পানাইল এলাকার সেতুটি। যে কারণে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার সঙ্গে  জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর পর থেকে প্রায় ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও পানাইলের বিধ্বস্ত সেতুটি নির্মাণ না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ বলছে, পানাইল এলাকায় সেতুর নকশা তৈরি করে অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এদিকে দুই বছর আগে একই সড়কের নোয়াগাঁও এলাকায় পাহাড়ি ঢলের তোড়ে একটি সেতু বিধ্বস্ত হয়। কর্তৃপক্ষ সেখানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিলেও নির্মাণকাজ খুবই ধীর গতিতে চলছে বলে জানা গেছে।

গাড়িচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে টানা বৃষ্টি শুরু হলে নোয়াগাঁও এলাকার সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। শ্যামলবাজার থেকে পূর্ব দিকে একটি ও পশ্চিম দিকে একটি জায়গায় দুটি সেতু ভেঙে যাওয়ায় এ এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। গন্তব্যে হেঁটে যেতে হচ্ছে। ইদনপুর গ্রামের বাসিন্দা শরিফ উদ্দিন বলেন, সেতু পুনর্নির্মাণ না হওয়ায় বর্ষায় তাঁদের ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়বে।

দোহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামীমুল ইসলাম বলেন,  সেতু দুটি ভেঙে যাওয়ায় গত বর্ষা থেকে জনসাধারণ ভোগান্তিতে রয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুগুলো নির্মাণ করা প্রয়োজন। এর আগে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সেখানে বেইলি ব্রিজ করে দিলে মানুষ উপকৃত হবে। তিনি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম বলেন, নোয়াগাঁওয়ে চলতি বছরের মধ্যেই সেতুর কাজ শেষ করা যাবে। পানাইল সেতুর অনুমোদন পেলে দ্রুত দরপত্র আহ্বান করা হবে।