বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে হাফিজুর রহমান (৩৮) নামে এক পীরের মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, লালমনিরহাট জেলার বাসিন্দা হাফিজুর শাহবন্দেগী ইউনিয়নের হামছায়াপুর গ্রামে পীরের আস্তানা করে বসবাস করছেন। গত মঙ্গলবার নওদাপাড়া গ্রামে সাইফুল ইসলামের বাড়িতে দাওয়াতে গিয়ে রাতে অবস্থান করেন। পরদিন ভোরে ঘুম থেকে তাকে ডেকে তুলে শাহবন্দেগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য রবিউল ইসলাম বাবু সহযোগীদের নিয়ে সাইফুল ইসলামের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগ এনে হাফিজুরকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে মাথার চুল কেটে তাকে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেওয়া হয়।

হাফিজুর রহমান বলেন, সাইফুলের স্ত্রী সম্পর্কে আমার ভাগ্নি। দাওয়াতে এসে রাতে বাড়িতে ছিলাম। রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে গ্রামের কয়েকজন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে মারধর করে। তারা সাদা কাগজে স্বাক্ষর চাইলে না দেওয়ায় চুল কেটে দেন। এ সময় আমার কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা, একটি স্মার্টফোন, স্বর্ণের চেইন ও আংটি ছিনিয়ে নেওয়া হয়।

রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা কারও চুল কেটে দেইনি। স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক জানতে পেরে সাইফুলই কথিত পীরের চুল কেটে দিয়েছেন। তবে সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার মামা শ্বশুরকে মারধর ও চুল কেটে দেওয়া হয়েছে। রবিউলরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউই কিছু বলতে সাহস পাচ্ছেন না। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।

শেরপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।