- বিদায় ২০২১
- বছরজুড়ে ভুগিয়েছে নিত্যপণ্যের দাম
বছরজুড়ে ভুগিয়েছে নিত্যপণ্যের দাম

করোনার অতিমারিতে বহু লোক চাকরি হারিয়েছেন। কমেছে অনেকের আয়। আবার ছোট ব্যবসায়ীদের কেউ কেউ মূলধন হারিয়ে ব্যবসা গুটিয়েছেন। এমন ক্রান্তিকালে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষকে বছরজুড়ে ভুগিয়েছে নিত্যপণ্যের দর।
চাল, ডাল, আটা-ময়দা, সয়াবিন তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ বেশিরভাগ পণ্যের দাম ছিল চড়া। সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসের দামে মানুষ যখন দিশেহারা, তখন বছরের শেষ প্রান্তিকে 'মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা' হয়ে এসেছে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর দুঃসংবাদ, যা পণ্যের দামের আগুনে আরও ঘি ঢেলেছে। ফলে স্বল্প আয়ের অনেক মানুষ চাহিদার চেয়ে কম পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বাজারে দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকতে না পেরে সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য কিনতে ভোক্তারা ছুটেছেন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকের পেছনে। যেখানে দেখা গেছে বহু নতুন মুখ। ২০২১ সালজুড়েই ছিল এমন ছবি।
দেশে সার্বিক মূল্যস্ম্ফীতি ৬ শতাংশের কাছাকাছি হলেও টিসিবির তথ্যমতে, কোনো কোনো নিত্যপণ্যের দাম ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ধাপে ধাপে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে সাতবার। এক বছরে খোলা সয়াবিন তেলে ৩৫ শতাংশ আর পাম তেলে ৪০ শতাংশ দাম বেড়েছে।
সবচেয়ে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য চালের দর ভোক্তাদের বেশ বিপাকে ফেলে। এক বছরে নাজিরশাইল চালের দাম বেড়েছে আড়াই শতাংশ। মিনিকেট ও মোটা চালের দামও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। আটার দাম ৩৫ শতাংশ আর ময়দার দাম ৩৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। চিনির দাম বেড়েছে ২২ শতাংশ আর আমদানি করা মসুর ডালে বেড়েছে ৩২ শতাংশ। আটা-ময়দার দাম বাড়ার কারণে প্যাকেটজাত খাদ্যের দামও বাড়িয়েছেন উৎপাদনকারীরা।
তিন বছর ধরে আলোচনার শীর্ষে ছিল পেঁয়াজ। অক্টোবরের দিকে হঠাৎ ঝাঁজ বেড়ে যায় পণ্যটির। ঝড়-বৃষ্টি, আমদানি ব্যাহতসহ নানা কারণ দেখিয়ে প্রায় ১০০ টাকা ওঠে পেঁয়াজের দাম। নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লেও বাজারে এখনও ৬০ টাকার বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। এক বছরে আমদানি করা রসুন ৬৮ শতাংশ ও আদার দাম বেড়েছে ১৯ শতাংশ।
খাদ্যের দাম বেড়েছে এমন কারণ দেখিয়ে দফায় দফায় মুরগির দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বছরের মাঝামাঝি সময়ে ব্রয়লারের কেজিপ্রতি দাম ১৯০ টাকায় ওঠে। ব্রয়লারের দাম বাড়ার কারণে সোনালি জাতের মুরগির দামও অনেক বেড়ে যায়।
অন্য বছর শীতের সবজির দাম হাতের নাগালে থাকলেও এবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সুযোগ নিয়েছেন সবজি বিক্রেতারা। ফলে ভরা মৌসুমেও চড়া দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। দু-একটি ছাড়া সব ধরনের সবজির কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।
জ্বালানির দাম বাড়লে পরিবহন মালিকদের যেন 'ঈদ মৌসুম' শুরু হয়। জ্বালানি তেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়লেও তারা ভাড়া বাড়িয়েছেন ২৭ শতাংশ। ফলে যাতায়াত বাবদ বাড়তি খরচের বোঝা পড়েছে জনসাধারণের কাঁধে।
ভোগ্যপণ্য আর জ্বালানি তেলের বাইরেও কয়েকটি পণ্য ভোক্তাকে চাপে ফেলে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নির্মাণসামগ্রী। এক বছরের ব্যবধানে ২৬ শতাংশ দাম বেড়েছে রডের। এ ছাড়া বস্তাপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দাম বেড়েছে সিমেন্টের।
চাল, ডাল, আটা-ময়দা, সয়াবিন তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ বেশিরভাগ পণ্যের দাম ছিল চড়া। সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসের দামে মানুষ যখন দিশেহারা, তখন বছরের শেষ প্রান্তিকে 'মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা' হয়ে এসেছে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর দুঃসংবাদ, যা পণ্যের দামের আগুনে আরও ঘি ঢেলেছে। ফলে স্বল্প আয়ের অনেক মানুষ চাহিদার চেয়ে কম পণ্য কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। বাজারে দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে টিকতে না পেরে সাশ্রয়ীমূল্যে পণ্য কিনতে ভোক্তারা ছুটেছেন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ট্রাকের পেছনে। যেখানে দেখা গেছে বহু নতুন মুখ। ২০২১ সালজুড়েই ছিল এমন ছবি।
দেশে সার্বিক মূল্যস্ম্ফীতি ৬ শতাংশের কাছাকাছি হলেও টিসিবির তথ্যমতে, কোনো কোনো নিত্যপণ্যের দাম ২০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ধাপে ধাপে ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে সাতবার। এক বছরে খোলা সয়াবিন তেলে ৩৫ শতাংশ আর পাম তেলে ৪০ শতাংশ দাম বেড়েছে।
সবচেয়ে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য চালের দর ভোক্তাদের বেশ বিপাকে ফেলে। এক বছরে নাজিরশাইল চালের দাম বেড়েছে আড়াই শতাংশ। মিনিকেট ও মোটা চালের দামও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। আটার দাম ৩৫ শতাংশ আর ময়দার দাম ৩৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। চিনির দাম বেড়েছে ২২ শতাংশ আর আমদানি করা মসুর ডালে বেড়েছে ৩২ শতাংশ। আটা-ময়দার দাম বাড়ার কারণে প্যাকেটজাত খাদ্যের দামও বাড়িয়েছেন উৎপাদনকারীরা।
তিন বছর ধরে আলোচনার শীর্ষে ছিল পেঁয়াজ। অক্টোবরের দিকে হঠাৎ ঝাঁজ বেড়ে যায় পণ্যটির। ঝড়-বৃষ্টি, আমদানি ব্যাহতসহ নানা কারণ দেখিয়ে প্রায় ১০০ টাকা ওঠে পেঁয়াজের দাম। নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লেও বাজারে এখনও ৬০ টাকার বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। এক বছরে আমদানি করা রসুন ৬৮ শতাংশ ও আদার দাম বেড়েছে ১৯ শতাংশ।
খাদ্যের দাম বেড়েছে এমন কারণ দেখিয়ে দফায় দফায় মুরগির দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। বছরের মাঝামাঝি সময়ে ব্রয়লারের কেজিপ্রতি দাম ১৯০ টাকায় ওঠে। ব্রয়লারের দাম বাড়ার কারণে সোনালি জাতের মুরগির দামও অনেক বেড়ে যায়।
অন্য বছর শীতের সবজির দাম হাতের নাগালে থাকলেও এবার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার সুযোগ নিয়েছেন সবজি বিক্রেতারা। ফলে ভরা মৌসুমেও চড়া দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। দু-একটি ছাড়া সব ধরনের সবজির কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে।
জ্বালানির দাম বাড়লে পরিবহন মালিকদের যেন 'ঈদ মৌসুম' শুরু হয়। জ্বালানি তেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়লেও তারা ভাড়া বাড়িয়েছেন ২৭ শতাংশ। ফলে যাতায়াত বাবদ বাড়তি খরচের বোঝা পড়েছে জনসাধারণের কাঁধে।
ভোগ্যপণ্য আর জ্বালানি তেলের বাইরেও কয়েকটি পণ্য ভোক্তাকে চাপে ফেলে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে নির্মাণসামগ্রী। এক বছরের ব্যবধানে ২৬ শতাংশ দাম বেড়েছে রডের। এ ছাড়া বস্তাপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দাম বেড়েছে সিমেন্টের।
মন্তব্য করুন