- বিদায় ২০২১
- শেষ মুহূর্তে নতুন ঝুঁকি ওমিক্রন
শেষ মুহূর্তে নতুন ঝুঁকি ওমিক্রন
করোনা মহামারি থেকে চলতি বছরই মুক্তি মিলবে- অনেকটা এমন ধারণা ছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকদের; কিন্তু তা হয়নি। মহামারি নিয়ন্ত্রণে টিকার উদ্ভাবন যখন আশার আলো ছড়াচ্ছিল, তখনই আফ্রিকায় শনাক্ত হয় করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন। গত ২৪ নভেম্বর আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানায় শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন এক মাসের ব্যবধানে শতাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও জিম্বাবুয়েফেরত দুই নারী ক্রিকেটারের শরীরে ওমিক্রনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আফ্রিকা ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে শুরু হয়েছে সামাজিক সংক্রমণ।
ওমিক্রনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের আরেকটি ঢেউ আসছে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও আশঙ্কা করছেন, নতুন বছরে করোনা মহামারি সবচেয়ে খারাপ রূপে আবির্ভূত হতে পারে। চলতি বছর শেষ হচ্ছে তাই করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আতঙ্ক ও তা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে।
চ্যালেঞ্জের মুখে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা :বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে যেমন, তেমনি বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য খাতকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে করোনা মহামারি। করোনা ব্যবস্থাপনা ও কভিডভীতিকে কেন্দ্র করে একের পর এক কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতি ঘটেছে স্বাস্থ্য খাতে। বড় বড় পদে রদবদল এসেছে এমন প্রেক্ষাপটে। বিশেষ করে করোনার ভারতীয় ডেলটা ধরন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে তীব্র চ্যালেঞ্জে ফেলে দেয়। মে মাসের শেষ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এর সংক্রমণ ও মৃত্যু আতঙ্ক সৃষ্টি করে। মে মাস থেকে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার রোগী এবং পরে প্রতিদিন ১০ হাজারের ওপর রোগী শনাক্তের পাশাপাশি দুইশর ওপর মানুষের মৃত্যু ঘটে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সে ঘুরতে ঘুরতে রাস্তায়ও মৃত্যু ঘটে অনেকের। সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দেয় আইসিইউ শয্যার।
সংশয় ডেকে এনেছে ওমিক্রন :করোনাভাইরাস মহামারি দূর করতে টিকার উদ্ভাবন ও কার্যকারিতা আশার আলো জাগিয়েছিল। কিন্তু ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এ টিকার কার্যকারিতা নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ওমিক্রনের সংক্রমণ ডেলটার চেয়ে কম গুরুতর নয়- এমন প্রমাণ পাননি ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষকরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিষেধক টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পর ওমিক্রনের লক্ষণযুক্ত সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা শূন্য থেকে ২০ শতাংশ। তবে বুস্টার ডোজের পর তা ৫৫ থেকে ৮০ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সার্স-কোভ-২-এর আগের সংক্রমণ ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে দ্বিতীয় সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম। কিন্তু ওমিক্রনের ক্ষেত্রে এ হার ১৯ শতাংশের মতো।
সুতরাং ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পেতে হলে বুস্টার ডোজে যেতে হবে। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও ফ্রন্টলাইনারদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 'আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটা'র ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, দেশের মোট ৫২ দশমিক ৬৪ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। এর মধ্যে দুই ডোজ করে টিকা পেয়েছেন ২৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। এক ডোজ করে টিকা পেয়েছেন ২৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ মানুষ। সুতরাং টিকাদানে গতি না এলে ওমিক্রন বিস্তারের শঙ্কা থেকেই যাবে।
ওমিক্রনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের আরেকটি ঢেউ আসছে বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অনেকে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও আশঙ্কা করছেন, নতুন বছরে করোনা মহামারি সবচেয়ে খারাপ রূপে আবির্ভূত হতে পারে। চলতি বছর শেষ হচ্ছে তাই করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আতঙ্ক ও তা মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে।
চ্যালেঞ্জের মুখে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা :বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে যেমন, তেমনি বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য খাতকেও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে করোনা মহামারি। করোনা ব্যবস্থাপনা ও কভিডভীতিকে কেন্দ্র করে একের পর এক কেলেঙ্কারি ও দুর্নীতি ঘটেছে স্বাস্থ্য খাতে। বড় বড় পদে রদবদল এসেছে এমন প্রেক্ষাপটে। বিশেষ করে করোনার ভারতীয় ডেলটা ধরন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনাকে তীব্র চ্যালেঞ্জে ফেলে দেয়। মে মাসের শেষ থেকে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এর সংক্রমণ ও মৃত্যু আতঙ্ক সৃষ্টি করে। মে মাস থেকে প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার রোগী এবং পরে প্রতিদিন ১০ হাজারের ওপর রোগী শনাক্তের পাশাপাশি দুইশর ওপর মানুষের মৃত্যু ঘটে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সে ঘুরতে ঘুরতে রাস্তায়ও মৃত্যু ঘটে অনেকের। সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দেয় আইসিইউ শয্যার।
সংশয় ডেকে এনেছে ওমিক্রন :করোনাভাইরাস মহামারি দূর করতে টিকার উদ্ভাবন ও কার্যকারিতা আশার আলো জাগিয়েছিল। কিন্তু ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এ টিকার কার্যকারিতা নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ওমিক্রনের সংক্রমণ ডেলটার চেয়ে কম গুরুতর নয়- এমন প্রমাণ পাননি ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষকরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিষেধক টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পর ওমিক্রনের লক্ষণযুক্ত সংক্রমণের বিরুদ্ধে কার্যকারিতা শূন্য থেকে ২০ শতাংশ। তবে বুস্টার ডোজের পর তা ৫৫ থেকে ৮০ শতাংশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সার্স-কোভ-২-এর আগের সংক্রমণ ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে দ্বিতীয় সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৮৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম। কিন্তু ওমিক্রনের ক্ষেত্রে এ হার ১৯ শতাংশের মতো।
সুতরাং ওমিক্রনের বিরুদ্ধে সুরক্ষা পেতে হলে বুস্টার ডোজে যেতে হবে। ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও ফ্রন্টলাইনারদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 'আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডাটা'র ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, দেশের মোট ৫২ দশমিক ৬৪ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় এসেছে। এর মধ্যে দুই ডোজ করে টিকা পেয়েছেন ২৬ দশমিক ৯০ শতাংশ। এক ডোজ করে টিকা পেয়েছেন ২৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ মানুষ। সুতরাং টিকাদানে গতি না এলে ওমিক্রন বিস্তারের শঙ্কা থেকেই যাবে।
মন্তব্য করুন