- বিদায় ২০২১
- সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদের বিষ
সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদের বিষ
বছরের শুরুতে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় তাণ্ডব চালায় হেফাজতে। ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, ভূমি অফিস, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয়, ডাকবাংলো, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবনসহ অন্তত ৫০টি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তারা। হেফাজতের তাণ্ডবকে ঘিরে ১২ জন নিহত হন। নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে নেওয়া কর্মসূচিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ছাড়াও ২০টি জেলায় হামলা, ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও চালায় হেফাজত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও প্রতিকৃতিতে আঘাত করার ধৃষ্টতা দেখায় তারা। ২৬ মার্চ হাটহাজারী থানায় হামলা চালিয়ে পুলিশের অস্ত্র লুট করা হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় নারায়ণগঞ্জে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, হেফাজতের ধ্বংসাত্মক এসব ঘটনায় সারাদেশে ১৫৪টি মামলা করা হয়। সবচেয়ে বেশি ৪৫টি মামলা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। এতে এজাহার নামীয় আসামির সংখ্যা তিন হাজার ২৭০ জন। অজ্ঞাতনামা আসামি ৮৩ হাজার ৯১৫ জন। দেশব্যাপী হেফাজতের তাণ্ডবের পর মামুনুল হকসহ একের পর এক নেতাকর্মীদের নানা গোপন ষড়যন্ত্রের তথ্য সামনে আসে। এরপরই চাপের মুখে কমিটি ভেঙে দেয় হেফাজত। পরে তারা আবার নতুন কমিটি করতে বাধ্য হয়।
এর আগে ২০১৩ সালে আলোচনায় আসা কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ঢাকায় তাণ্ডব দেখায়। ওই বছরের ৫ মে ঢাকার ছয়টি প্রবেশমুখে অবরোধ কর্মসূচি শেষে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান নেন হেফাজতের বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক। এক পর্যায়ে হেফাজতের উগ্র নেতাকর্মীরা সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ে আগুন, ভাঙচুর ও নাশকতা চালায়। এসব ঘটনায় ঢাকাসহ সাতটি জেলায় মোট ৮৩টি মামলা করা হয়েছিল। হেফাজত যে তার উগ্রপন্থি আচরণের খোলস থেকে বের হতে পারেনি আট বছর পর আবারও তার প্রমাণ মিলল।
বছরের শেষের দিকে এসে সাম্প্রদায়িক শক্তির আরেকটি তাণ্ডব দেখা মেলে। ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার নানুয়ারদিঘীর পাড়ের অস্থায়ী একটি মন্দিরে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনা ঘটে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির, ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে হামলা-সহিংসতায় নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ কয়েকটি জায়গায় প্রাণহানিও ঘটে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতায় সারাদেশে মোট ১৪২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এজাহারনামীয় আসামি এক হাজার ৫৮৪ জন। অজ্ঞাতনামা আসামি ২০ হাজার ৯৪৩ জন। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক হাজার ১৩৬ জনকে। আর কুমিল্লায় মন্দিরে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় স্থানীয় যুবক ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, হেফাজতের ধ্বংসাত্মক এসব ঘটনায় সারাদেশে ১৫৪টি মামলা করা হয়। সবচেয়ে বেশি ৪৫টি মামলা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। এতে এজাহার নামীয় আসামির সংখ্যা তিন হাজার ২৭০ জন। অজ্ঞাতনামা আসামি ৮৩ হাজার ৯১৫ জন। দেশব্যাপী হেফাজতের তাণ্ডবের পর মামুনুল হকসহ একের পর এক নেতাকর্মীদের নানা গোপন ষড়যন্ত্রের তথ্য সামনে আসে। এরপরই চাপের মুখে কমিটি ভেঙে দেয় হেফাজত। পরে তারা আবার নতুন কমিটি করতে বাধ্য হয়।
এর আগে ২০১৩ সালে আলোচনায় আসা কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ঢাকায় তাণ্ডব দেখায়। ওই বছরের ৫ মে ঢাকার ছয়টি প্রবেশমুখে অবরোধ কর্মসূচি শেষে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবস্থান নেন হেফাজতের বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক। এক পর্যায়ে হেফাজতের উগ্র নেতাকর্মীরা সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ে আগুন, ভাঙচুর ও নাশকতা চালায়। এসব ঘটনায় ঢাকাসহ সাতটি জেলায় মোট ৮৩টি মামলা করা হয়েছিল। হেফাজত যে তার উগ্রপন্থি আচরণের খোলস থেকে বের হতে পারেনি আট বছর পর আবারও তার প্রমাণ মিলল।
বছরের শেষের দিকে এসে সাম্প্রদায়িক শক্তির আরেকটি তাণ্ডব দেখা মেলে। ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার নানুয়ারদিঘীর পাড়ের অস্থায়ী একটি মন্দিরে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ালে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনা ঘটে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির, ঘরবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে হামলা-সহিংসতায় নোয়াখালী, চাঁদপুরসহ কয়েকটি জায়গায় প্রাণহানিও ঘটে।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য বলছে, কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতায় সারাদেশে মোট ১৪২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এজাহারনামীয় আসামি এক হাজার ৫৮৪ জন। অজ্ঞাতনামা আসামি ২০ হাজার ৯৪৩ জন। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক হাজার ১৩৬ জনকে। আর কুমিল্লায় মন্দিরে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় স্থানীয় যুবক ইকবাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মন্তব্য করুন