বাংলাদেশ কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ বলেছেন, বাংলাদেশের প্রায় ১৭ শতাংশ মানুষ দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগে আক্রান্ত। তবে আর্থিক সংকটে ৭৫ শতাংশ কিডনি রোগী ডায়ালাইসিস সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর ফলে রোগীদের মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ছে।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) রাজধানীর শ্যামলীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব কিডনি দিবস-২০২৩ উপলক্ষে এ বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন।

ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, ২০২০ সাল থেকে ১৮ হাজার ৯০০ জন রোগী নিয়মিত ডায়ালাইসিস সেবা নিচ্ছিলেন। প্রতিবছর এর সঙ্গে ১ হাজার জন করে যুক্ত হচ্ছেন। মোট আক্রান্তের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ রোগী বর্তমানে ডায়ালাইসিস সেবা নিয়ে থাকেন। বাকি ৭৫ শতাংশ রোগী এই সেবা নিতে পারছেন না। বাংলাদেশে এত রোগীকে ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়াও সম্ভব না। সবাইকে এ সেবার আওতায় আনতে আরও ৫ গুণ বেশি বাজেটের প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিতে এ পর্যন্ত ৩৮টি কিডনি প্রতিস্থাপন (ট্রান্সপ্লান্ট) করা হয়েছে। চলতি বছরে প্রতিস্থাপন হয়েছে সাতটি।

কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচের বিষয়ে চিকিৎসকরা জানান, এ হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা না হওয়ায় খরচ কিছুটা বেড়ে যায়। তবে, সর্বমোট ১ লাখ টাকা কিডনি প্রতিস্থাপনে খরচ হয়ে থাকে। এই টাকায় হাসপাতাল থেকে কিডনি প্রতিস্থাপনসহ মোট ১৪ দিনের সেবা দেওয়া সম্ভব। অনেক ওষুধের সরবরাহ না থাকায় খরচ বাড়ে। ১৪ দিন পর বাকি ওষুধের জন্য রোগীকে নতুন করে টাকা খরচ করতে হয়।