- বাংলাদেশ
- শব্দদূষণে মানুষ বধির হলেও আইনের প্রয়োগ নেই
শব্দদূষণে মানুষ বধির হলেও আইনের প্রয়োগ নেই
কারণে-অকারণে সর্বত্র শব্দদূষণ হচ্ছে। এতে মানুষ বধির হলেও নেই আইনের প্রয়োগ। দূষণ কমাতে ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে দরকার গণপরিবহনভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের 'শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প'-এর আওতায় সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, আমরা এত বছরেও পাবলিক পরিবহনবান্ধব শহর গড়ে তুলতে পারিনি। আমাদের এমপি-মন্ত্রী পাবলিক পরিবহন ব্যবহার করেন না। তবে এ বিষয়ে অনুষ্ঠানে পাল্টা প্রশ্ন রেখে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বলেন, আমরা পাবলিক বাসে চড়লে নিরাপত্তা দেবে কে? বাসে চড়লে আমাদের অনেকের রোষানলে পড়ার আশঙ্কা থাকে। কারণ, সবার দাবি-দাওয়া তো আমরা পূরণ করতে পারব না। শব্দদূষণ রোধে গণমাধ্যমে প্রচার এবং পাড়া-মহল্লায় জনসচেতনতা সৃষ্টি করার ওপর জোর দেন তিনি।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, শব্দদূষণের জন্য ২০ শতাংশ মানুষ বধির হয়ে যাচ্ছে এবং ৭১ শতাংশ মানুষ হতাশা ও উদ্বেগের মধ্যে নিমজ্জিত হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সাবেক উপাচার্য স্থপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী নকী বলেন, শব্দ খারাপ না।
তবে ভুল সময়ে, ভুল জায়গায় শব্দ করা হলে তা দূষণ হয়।
অনুষ্ঠানে স্ট্যামফোর্ড বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার এবং উবারের পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশের আঞ্চলিক প্রধান মোহাম্মদ আলী আরমানুর রহমান বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন