১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চান সেই জজ মিয়া

বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা মামলায় ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ৪ বছর কারাভোগ করা মো. জালাল ওরফে জজ মিয়া ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপিসহ সংশ্নিষ্টদের ১৫ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ আদায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে, অন্যথায় হাইকোর্টে রিটের কথা জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী।

জজ মিয়ার পক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও মোহাম্মদ কাওসার এই লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান। এতে বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক আইজিপি খোদাবক্স চৌধুরী, সাবেক এএসপি আব্দুর রশিদ, মুন্সি আতিকুর রহমান, সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিনসহ জড়িত ১১ জনের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিতে বলা হয়েছে।
আগামী ১৫ দিনের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, ঢাকার জেলা প্রশাসক এবং মতিঝিল ও সেনবাগ থানার ওসিকে এই ক্ষতিপূরণ আদায়ের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় হাইকোর্টে রিট করা হবে বলে জানান জজ মিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলের নেতাকর্মীসহ ২২ জন নিহত হন।

এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে ধরে আনা হয় 'জজ মিয়া' নামে ওই যুবককে। তাঁকে ১৭ দিন রিমান্ডে নেয় সিআইডি। ২০০৫ সালের ২৬ জুন আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জজ মিয়া বলেছিলেন, '৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন। ওই বড় ভাইয়েরা হলেন- শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ, মুকুল প্রমুখ।'

জজ মিয়ার দাবি, তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে গ্রেনেড হামলায় জড়িত থাকার জবানবন্দি আদায় করা হয়েছিল।