জ্বালানি তেলে বিদ্যমান ৩৭ শতাংশ শুল্ক ও কর প্রত্যাহার চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে থালা-গামলা হাতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী একদল তরুণ।

বুধবার সকালে এনবিআরের প্রধান ফটকের পাশে 'দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত জনতা'র ব্যানারে এই কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এর কিছুক্ষণ পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুরোধে তারা সেখান থেকে চলে যান।

কর্মসূচিতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমদ এবং যুগ্ম আহ্বায়ক রাহাতুল আলম। তারা বলেন, লকডাউন, বন্যা, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এমনিতেই দেশের অর্থনীতি ভালো নেই। সবকিছুর দাম বাড়তি। গরিবরা ঠিকমতো খেতে পাচ্ছেন না, মধ্যবিত্তরা খাবার কম খাচ্ছেন। সংসার চালাতে মা তার সন্তানকে বিক্রি করছেন, বাবা কিডনি বিক্রি করে মেয়ের বিয়ে দিচ্ছেন। ঋণের চাপে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটছে দেশে।

তারা আরও বলেন, মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের প্রতিটি জনগণ দিশেহারা। এর মধ্যে হঠাৎ করে মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো অতি উচ্চহারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করেছে সরকার। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয়ের কথা বলা হলেও এই মূল্য প্রকৃত মূল্য নয়। সরকারের নানা প্রকার শুল্ক ও কর সহকারে মূল্য অস্বাভাবিক বেড়েছে।

বক্তব্যে তারা বলেন, এখন তেলের বাড়তি মূল্যের মধ্যে শুল্ক ১০ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, অগ্রীম আয়কর ৫ শতাংশ, অগ্রীম ভ্যাট ৫ শতাংশসহ মোট শতকরা ৩৭ শতাংশ সরকারি শুল্ক ও কর বিদ্যমান। সেটা যেন রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে এক বিরাট লাভজনক ব্যবসা।

তারা আরও বলেন, এ কারণে ডিজেল প্রকৃত মূল্য ৮৩ টাকার সঙ্গে শুল্ক ও কর ৩১ টাকা যোগ হয়ে ১১৪ টাকা হয়েছে। একইভাবে পেট্রোলে ৩৬ টাকা এবং অকটেনে ৩৭ টাকা করে শুল্ক-কর নিচ্ছে সরকার। এ পরিস্থিতিতে সরকারকে অতি লাভজনক ব্যবসা থেকে সরে আসতে হবে। জ্বালানি তেল থেকে ৩৭ শতাংশ শুল্ক-কর বাদ দিতে হবে। জ্বালানি তেল শতভাগ কর ও শুল্কমুক্ত করে প্রকৃত মূল্য হিসেবে ডিজেল ৮৩ টাকা, পেট্রল ৯৪ টাকা এবং অকটেন ৯৪ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।