- বাংলাদেশ
- পি কে হালদার গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী
পি কে হালদার গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী
প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) ভারতে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী ও হাবরার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
আজ রোববার তিনি জানান, পি কে হালদারকে ভারতে আত্মগোপন এবং মুদ্রাপাচারে কেউ সহযোগিতা করে থাকলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণ হবে তাকেই গ্রেপ্তার করা হবে। আইন আইনের পথে চলবে।
পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ভোটার কার্ড ও আধার কার্ডসহ বিভিন্ন জালিয়াতির অভিযোগ বিষয়ে বনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করার আগে একজন মন্ত্রী হিসেবে আমি মন্তব্য করতে পারি না। এ রকম ঘটনা ঘটে থাকলে তার প্রমাণ আমার কাছে দিন। আমি বিষয়টি দেখব।
প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ভারতে পালানো পি কে হালদার এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গতকাল শনিবার তাকে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। ইডি জানিয়েছে, পি কে হালদার নাম পাল্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে বসবাস করতেন। প্রদেশের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
আজ রোববার সকালে পি কে হালদারের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কলকাতার নগর দায়রা আদালত। এর ফলে তাকে রিমান্ড হেফাজতে পেয়েছে ইডি। তদন্ত কর্মকর্তাদের জেরার মুখে দফায় দফায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বলে সমকালকে জানিয়েছে ইডি’র একটি সূত্র। আজ রোববার দুপুরে এক ইডি কর্মকর্তা সমকালকে জানান, গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করার আগে থেকেই জেরা শুরু হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর দুই ঘণ্টা বিরতি দেওয়া হয়। এরপর ফের ম্যারাথন জেরা শুরু হয়েছে। জেরার মুখে তদন্ত কর্মকর্তাদের সামনে দফায় দফায় কান্না করেছেন পি কে হালদার।
শনিবার ইডি আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এরমধ্যে চারজন বাংলাদেশি। তারা হলেন- প্রীতিশ কুমার হালদার ও তার স্ত্রী (নাম জানা যায়নি), উত্তম মিত্র ও স্বপন মিত্র। এছাড়া প্রণব হালদার নামে এক ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করে ইডি। প্রণব সেখানে সরকারি চাকরি করেন। পরে সঞ্জীব হালদার নামে একজনকে আটক করার কথা জানায় ইডি। সঞ্জীব বাংলাদেশ গ্রেপ্তার সুকুমার মৃধার জামাই।
গত শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের অন্তত নয়টি স্থানে একযোগে অভিযান চালায় ইডি। এতে কয়েকটি অভিজাত বাড়িসহ পি কের বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে। বাড়িগুলো থেকে জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক নথি জব্দ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে পি কে হালদারের ২০ থেকে ২২টি বাড়ি আছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ রয়েছে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে। তাকে গ্রেপ্তার করতে রেড অ্যালার্ট জারি করেছিল ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)।
মন্তব্য করুন