ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টারের মালিক কারাগারে

ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টারের মেডিকেল টেস্ট রিপোর্টের প্যাডে চিকিৎসকের অগ্রিম স্বাক্ষর রাখায় মালিক সাল্লাহ উদ্দিন মেহেদী ও মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আতিকুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। 

সোমবার তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) আলাউল আকবর এ আদেশ দেন। এ সময় নারী বিবেচনায় প্রতিষ্ঠানটির প্যাথলজি কনসালট্যান্ট চিকিৎসক ফরিদা ইয়াসমিনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে জামিন দেওয়া হয়।

মামলার প্রসিকিউটিং অফিসার ও খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান বলেন, শান্তিনগরের শান টাওয়ারের তৃতীয় তলায় দ্য ঢাকা গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টারের মালিক গত ৫ নভেম্বর নতুন ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন করেন। ১২ নভেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-২ এর স্বাস্থ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান পরিদর্শনে যান। তিনি প্রতিষ্ঠানটির ল্যাবের কম্পিউটার প্রিন্টারের ভেতরে ‘খালি প্যাডে’ প্রতিষ্ঠানের প্যাথলজি কনসালট্যান্ট ডাক্তার ফরিদা ইয়াসমিনের স্বাক্ষর দেখতে পান।

স্বাস্থ্য পরিদর্শক এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাল্লাহ উদ্দিন মেহেদী তাঁকে বলেন, ‘ডাক্তার এক সপ্তাহের ছুটিতে আছেন বলে অগ্রিম স্বাক্ষর করে রেখে গেছেন’, যা টেস্ট রিপোর্টের কাজে ব্যবহার করা হয়। পরে স্বাস্থ্য পরিদর্শক খালি প্যাডে ডাক্তারের স্বাক্ষর রেখে যাওয়া সংক্রান্ত তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত স্বীকারোক্তি নেন এবং নমুনা হিসেবে ৩০টি স্বাক্ষরিত সাদা প্যাড জব্দ করেন।
স্বাস্থ্য পরিদর্শক বিষয়টি করপোরেশন স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করেন। 
তিনি বলেন, গ্যাস্ট্রো-লিভার সেন্টারের এ ধরনের কার্যক্রম সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।