নদীভাঙন, বন্যা, সাইক্লোন, জোয়ার, অনাবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা প্রভৃতি প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে পড়ে জীবন, ফসল, জমি-জিরাত ও ভিটে হারায় মানুষ। মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি খাদ্য সংকট ও সামাজিক বিশৃঙ্খলার মুখে পড়ে অবশেষে তারা ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। তবে তাদের এলাকায় পুনর্বাসন করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

রোববার বিভাগের সেমিনার কক্ষে 'জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বাস্তুচ্যুতদের স্থানীয়ভাবে অভিযোজনের জন্য টেকসই জীবিকার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন' শীর্ষক সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। ভোলার দৌলতখান, বাঘেরহাটের মোড়েলগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর এবং শরীয়তপুরের নারিয়া উপজেলায় এ গবেষণা পরিচালিত হয়।

মূল প্রবন্ধে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর বলেন, নারিয়া, মোরেলগঞ্জ, দৌলতখান, গাইবান্ধা থেকে নদীভাঙনের শিকার হয়ে স্থানভেদে ১৭-৭৮ শতাংশ মানুষ ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। ৬২ শতাংশ মানুষ চাকরির খোঁজে শহরে পাড়ি জমায়। দুর্যোগকবলিত এসব মানুষকে এলাকায় পুনর্বাসন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়কমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বলেন, বর্তমান সরকার দুর্যোগপ্রবণ গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা মোকাবেলায় অধিকতর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

সেমিনারে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুন নাহার হেনা, প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক নুরুল ইসলাম নাজেম, উপ-পরিচালক অধ্যাপক এ কিউ এম মাহবুব এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম বক্তব্য দেন।