- ২১ ফেব্রুয়ারি
- আরেক ফাল্গুন কাঁদবার অধিকার আদায়ের গাথা
কথাসাহিত্য
আরেক ফাল্গুন কাঁদবার অধিকার আদায়ের গাথা

পৃথিবীতে বসন্ত এক প্রতীকী ঋতু। সব যুগে, প্রায় সব জাতিতে। এ ঋতু বিপ্লব ও প্রেমের, জাগরণের, নতুনের, সম্ভাবনার প্রতীক। এ ঋতুতে গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়, ফুল ফোটে। পাখি ডাকে। এ ফুলগুলোর অধিকাংশের রং লাল। বাংলার অশোক, শিমুল, পলাশ যেমন। আর কোকিলের কথা নাইবা বলা হলো।
প্রাগৈতিহাসিক যুগে মানুষ যখন দিনপঞ্জি আবিস্কার করতে পারেনি তখন তারা সূর্য দিয়ে সব কিছু পরিমাপ করতে বাধ্য হতো। শীতের সূর্য বসন্তে নাতিশীতোষ্ণ হয়ে উঠলে প্রকৃতিতে গাছে গাছে নতুন পাতা গজাত। মানুষ প্রকৃতির বিরূপতা কাটিয়ে শিকারে মত্ত হতো। আর নিবেদন করত পূজা, এই ঋতুতে।
বসন্ত পূজার আমরা প্রথম প্রমাণ পাই সুমেরু সভ্যতায়, ব্যাবিলন শহরে। সে সভ্যতার সৌর বছর গণনা করা হতো বসন্তকাল দিয়ে। এ সময়ে পালিত হতো উৎসব। ব্যাবিলনে আকিতু (অশরঃঁ) নামের এ উৎসবের আয়োজন করা হতো বর্ষবরণ হিসেবেই। ভারতীয় প্রাচীন পুরাণ গ্রন্থগুলোতেও আমরা বসন্ত বন্দনার পরিচয় পাই। বসন্তের বন্দনা কবিরা করে গেছেন যুগে যুগে। রবীন্দ্রনাথ সে বন্দনাতেই থেমে থাকেননি। শান্তিনিকেতনে চালু করেছিলেন বসন্ত উৎসবের। বসন্ত উৎসব এখন বাংলাদেশেও পালিত হয় জাঁকজমকভাবে।
জাতির জীবনে কখনও কখনও বসন্তের জাগরণ আসে। আসে বিদ্রোহ, বিপ্লব। মানুষ বলে বসন্ত। কয়েক বছর আগে যেমন আরবের তরুণদের জাগরণকে নাম দেওয়া হয়েছিল আরব বসন্ত। বাংলাদেশের শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চকেও অনেকে বন্দনা করেছিলেন লাল বসন্ত বলে। ভারতীবর্ষে জাতীয়তাবাদের উদ্ভব ঘটে মূলত ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে। সে আমলেই সাবর্ল্টান বিদ্রোহের সবচেয়ে বড় ঘটনা সিপাহি বিদ্রোহ। ১৮৫৭ সালে। ঢাকায়ও সে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়েছিল। ঢাকার লালবাগ দুর্গের সিপাহিরা বিদ্রোহ ঘোষণা করে আর রাতের আঁধারে ব্রিটিশ মেরিন সেনাবাহিনীর সৈন্যরা তাদের ওপর আক্রমণ করে। এতে একদল সিপাহি মার্চ করে ময়মনসিংহের দিকে চলে যেতে সক্ষম হলেও বিপুল সংখ্যক সেনা ওদের হাতে বন্দি হয়। এ বন্দি সেনাদের পরে ফাঁসি দেওয়া হয় পুরান ঢাকার আন্ডার গোরা মাঠে। পরে তাদের মৃতদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয় মাঠের বড় বড় গাছে। লোকে সে জায়গাটিকে এখন চেনে ভিক্টোরিয়া পার্ক হিসেবে।
বাঙালি জাতির সত্যিকারের জাগরণের ঘটনা ঘটে তারও প্রায় একশ বছর পরে। ১৯৫২ সালে। ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতীয়তাবাদের বীজ রোপিত হয় সে সময়েই। তার সফল পরিণতি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। ৫২ সালের ঠিক ফাল্কগ্দুন মাসেই বাঙালির জীবনে আসে লাল বসন্ত। ভাষার জন্য রঞ্জিত হয় ঢাকার রাজপথ। কিন্তু সে দাবি রক্তের বিনিময়েও পাকিস্তানের শাসকরা মেনে নিতে চায়নি। এ জন্য অপেক্ষা করতে হয় ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত। এ কারণে ১৯৫৫ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি পালনও ছিল এ জাতির জন্য একটি বড় বিপ্লব। ১৯৫৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পালনকে কেন্দ্র করে জহির রায়হান রচনা করেন এক কালজয়ী উপন্যাস আরেক ফাল্কগ্দুন। উপন্যাসটি ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রচিত প্রথম উপন্যাসও বটে। ফলে এর ঐতিহাসিক গুরুত্বও অনেক।
ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রচিত প্রথম উপন্যাসের লেখক জহির রায়হানও ছিলেন একজন ভাষাসৈনিক। ১৯৫২ সালের বিখ্যাত আমতলা সমাবেশে তিনি উপস্থিত ছিলেন এবং ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধরার অমান্য করে প্রথম যে ১০ জন মিছিল বের করেছিলেন তিনি ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। সেদিন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। ১৯৫৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পালনের আন্দোলনের সময়েও তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং কারারুদ্ধ করা হয়েছিল। ফলে এ আন্দোলন ও এর ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। কালখণ্ডের এই ঘটনাপ্রবাহকে তিনি ভেতর থেকে দেখেছেন। তার উত্তাপ গ্রহণ করেছেন। ফলে তার পক্ষে এমন একটি কাব্যময় অন্তর্ভেদী উপন্যাস রচনা করা সম্ভব হয়েছে। অবশ্য জহির রায়হানের সৃষ্টিজগৎ আরও বিস্তৃত। তিনি একাধারে আলোকচিত্রশিল্পী, চলচ্চিত্রকার, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার, সাংবাদিক, তথ্যচিত্র নির্মাতা। ষাট দশকে পূর্ব বাংলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যে সৃষ্টির জোয়ার এসেছিল; তিনি ছিলেন সে তরঙ্গ সৃষ্টিকারীদের মধ্যে উজ্জ্বলতম একজন।
জহির রায়হানের জন্ম ১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট ফেনী জেলার মজুপুর গ্রামে। তার পিতা মওলানা মহীবুল্লাহ ছিলেন কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যাপক ও পরবর্তীতে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। জহির রায়হান প্রথমে মিত্র ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। পরে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন। কিন্তু দেশভাগের পর তিনি পূর্ব বাংলায় চলে আসেন। পরে ঢাকায় পড়াশোনা করেন। সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্রাবস্থায়ই তিনি তৎকালীন নিষিদ্ধ ঘোষিত কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যুক্ত হন। পার্টির গোপন বার্তা বাহকের কাজ করেন। তার প্রথম গল্পগ্রন্থ সূর্যগ্রহণ প্রকাশিত হয় ১৯৫৫ সালে। তার প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে শেষ বিকেলের মেয়ে (১৯৬০), হাজার বছর ধরে (১৯৬৪), বরফ গলা নদী (১৯৬৯), আর কত দিন (১৯৭০) ইত্যাদি। আরেক ফাল্কগ্দুন উপন্যাসটি তিনি রচনা করেন ১৯৬৮ সালে, আর প্রকাশিত হয় ১৯৬৯ সালে।
২. উপন্যাসটি শুরু হয়েছে ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের স্মৃতির অনুষঙ্গে, নাটকীয় একটি বাক্য দিয়ে- 'রাত দুপুরে সবাই যখন ঘুমে অচেতন তখন বৃটিশ সেপাহীরা এসে ছাউনি ফেলেছিলো এখানে।' আখ্যানতত্ত্বে প্রথম বাক্যেই পাঠককে বড়শিতে বিঁধে ফেলার যে কৌশলের কথা বলা হয় ঔপন্যাসিক সে মোক্ষম কারণটিই ব্যবহার করেছেন আখ্যান নির্মাণের সূচনায়। তারপর সুতোয় আটকে পড়া মাছের মতোই পাঠক উপন্যাসের কাহিনিবৃত্তে পরিক্রমণে বাধ্য হন। ঔপন্যাসিক তারপর সর্বজ্ঞ লেখকের দৃষ্টিকোণে উপন্যাসের ঘটনাপ্রবাহকে বর্ণনা করতে থাকেন। ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহে প্রত্নপ্রতীকে স্থাপিত হয় ১৯৫৫ সালের ঘটনাপ্রবাহ। 'মানুষের রক্তে লালবাগের মাটি লাল হয়ে ওঠা' সেকালের এককালের আন্ডাগোরা ময়দান, যা তখন ভিক্টোরিয়া পার্ক নামে পরিচিত সে পার্কের পাশ দিয়ে এক যুবকের মেঘের মতো হেঁটে যাওয়ার বর্ণনার ভেতর দিয়ে উপন্যাসটির প্রথম চরিত্রটির কাহিনিবৃত্তে প্রবেশ। চরিত্রটির গতিপথও প্রতীকী, তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা কুয়াশা ঢাকা সে সকালে বাতাসে আকাশের মেঘ ভেসে যাচ্ছিল উত্তর থেকে দক্ষিণে। কিন্তু চরিত্রটির গতি বিপরীত দিকে। তার গতিপথ দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে। পুরান ঢাকার মানুষরা যখন নিত্যদিনের যাপিত জীবনের শুরু করেছিল আটপৌরেভাবে তখন এ তরুণটি শুরু করেছে ব্যতিক্রমীভাবে। ঔপন্যাসিকের সর্বজ্ঞ দৃষ্টিকোণের বর্ণনায়- 'পরনে তার একটা সদ্য ধোবান সাদা শার্ট। পা জোড়া খালি। জুতো নেই। রাস্তার দু'পাশে দোকানীরা পসরা সাজিয়ে বসেছে। টাউন সার্ভিসের বাসগুলো চলতে শুরু করেছে সবে। ভিড় বাড়ছে। কর্মচঞ্চল লোকেরা গন্তব্যের দিকে ছুটছে রাস্তার দু'ধার ঘেষে। কিন্তু ওদের সঙ্গে এ ছেলেটির একটা আশ্চর্য অসামঞ্জস্য প্রথম দৃষ্টিতেই ধরা পড়ে। সব আছে তার। ... মুখের দিকে তাকালে ভদ্রলোকের সন্তান বলে মনে হয়। কিন্তু পায়ে জুতো নেই কেন?'
এই অসামঞ্জস্য সবারই চোখে পড়ে। কেননা শুধু এ ছেলেটিই নয়, বংশাল রোড যখন ছেলেটি পার হচ্ছিল তখন অনেকে লক্ষ্য করে আর একটি ছেলে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে যারও পা খালি। এরা এ উপন্যাসের প্রধান দুটি চরিত্র মুনিম আর আসাদ। তারপর গুলিস্তানের কাছে তারা রূপান্তরিত হলো দশজনে। 'ওরা এখন দশজন। দশজন মার্জিত পোশাক পরা নগ্ন পায়ের যাত্রী।' কেননা তারা একটি ব্রত হিসেবে নগ্নপায়ে চলেছে। শহরের লোকেরা বুঝতে পারে এই শহরে আরেকটি বড় কোনো ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।
তারপর উপন্যাসটিতে মোট তিন দিন দুই রাত্রির ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে কাহিনিবৃত্তের সব উপকরণ সহযোগে। উপন্যাসটির এক বড় অংশের কথক কবি রসুলের দৃষ্টিকোণে উপন্যাসের ঘটনা ফিরে গেছে ১৯৫২ সালের ফাল্কগ্দুনের দিনগুলোতে। যে দিন কবি রসুল নিজে দেখেছে ভাষার দাবিতে প্রাণ দিতে। ঢাকার রাজপথে রক্ত ঝরতে। কিন্তু প্রাণের বিনিময়েও সে দাবি আদায় হয়নি। শাসকরা সে শহীদদের জন্য শোক প্রকাশ করার অধিকার পর্যন্ত দিতে রাজি নয়। স্মৃতির মিনার ভেঙে ফেলেছে। তিন বছর পর সে দিনটিকে পালন করতে দিতে চায় না। এ তরুণরা চায় সে শোক প্রকাশের অধিকার। 'কাঁদবার অধিকার'। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র মুনিম এ আন্দোলনের যুক্তি তুলে ধরে তার মাকে বলছে- ''জানো মা, সেবার যে গুলি করে কতগুলো ছেলেকে মেরেছিলো, তাদের জন্যে আমরা একটু শোক প্রকাশ করবো তাও দিচ্ছে না ওরা।
মিনসেদের হয়েছে কি। কাঁদতেও দেবে না নাকি? মা অবাক হলেন। মুনিম সাগ্রহে বললো, তাইতো মা, কাঁদবার জন্যে আন্দোলন করছি।''
সে শোক প্রকাশের অধিকার আদায়ের ইতিবৃত্ত উপন্যাসে বর্ণনা করা হয়েছে তিন দিন দু'রাত্রির ঘটনা বর্ণনার ভেতর দিয়ে। প্রথম দুই দিন বর্ণনা চরিত্রগুলোর সংগ্রাম, ব্যক্তিগত প্রেম বিরহ বিচ্ছেদের নানা মাত্রার কাহিনি দিয়ে। এর ভেতর আছে ভাষাসংগ্রামী রওশন যে ১৯৪৮ সাল থেকে কারাগারে আছে। গুলিতে সে দু'হাত হারিয়েছে। জেলের বাইরে তার জন্য অপেক্ষা করে চলেছে সালমা। একাকী জীবনসংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। মেডিকেল কলেজে পড়ছে। সে নিজেকেও জড়িয়েছে এ আন্দোলনে। আছে মুনিম ও তার দয়িতা ডলির সম্পর্কের টানপোড়েন। আছে সুবিধাবাদী কবি বজলে আর তার বন্ধু গোয়েন্দা শাখায় কাজ করা কবি মাহমুদ। ছাত্রদের মধ্যে মিশে থাকা গোয়েন্দার সোর্স সবুর। চরিত্রগুলোর লড়াই আর আপস দু'ধরনের চিত্রই আছে। কিন্তু লড়াইটিই প্রধান হয়ে উঠেছে।
জহির রায়হান মার্কসবাদী ছিলেন। স্বভাবতই তার আখ্যানে সে চেতনা, ব্যক্তি, সমাজ, শ্রেণি সংগ্রাম বিশ্নেষণের হাতিয়ার ব্যবহূত হয়েছে। আন্দোলনটি যৌথ। কিন্তু জহির রায়হান সে যৌথ আন্দোলনের বয়ানে ব্যক্তির স্বাতন্ত্র কখনও ব্যাহত করেননি। মিছিলের প্রতিটি মুখ পৃথক। কবি যেমন বলেছেন, মিছিলের সব মুখ সমান নয়। এ উপন্যাসে প্রতিটি মুখ, প্রতিটি চরিত্র আলাদাভাবে চিত্রিত করা হয়েছে।
উপন্যাসটির মূল লক্ষ্য নিহত ভাষাশহীদদের জন্য শোক প্রকাশের অধিকার আদায়ের লড়াইকে ফুটিয়ে তোলা। উপন্যাসের প্রধান চরিত্র মুনিমের ভাষায় 'কাঁদবার অধিকার' আদায়ের সংগ্রাম।
উপন্যাসের উপান্তে আমরা দেখি শাসকরা সে অধিকারটুকুও দেয়নি। ভাষাশহীদ দিবস পালনের অধিকার দেয়নি। পুলিশ হামলা করেছে। তাদের গ্রেপ্তার করেছে। কাঁদবার অধিকার চাওয়ার লড়াই তখন সম্মিলিত ক্রোধে রূপান্তরিত হয়েছে। আরেকটি বিপ্লবের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শোক প্রকাশের অধিকার আদায়ের কর্মীদের যখন জেলে পোরা হচ্ছে সে সময়ের উপন্যাসের অন্তিম এপিক বর্ণনা-
''নাম ডেকে ডেকে তখন একজন করে ছেলে মেয়েদের ঢোকান হচ্ছিল জেলখানার ভেতর।
নাম ডাকতে ডাকতে হাঁপিয়ে উঠেছিলেন ডিপুটি জেলার সাহেব। এক সময় বিরক্তির সাথে বললেন, উহ্ এত ছেলেকে জায়গা দেবো কোথায়। জেলখানাতো এমনিতে ভর্তি হয়ে আছে।
ওর কথা শুনে কবি রসুল চিৎকার করে উঠলো, জেলখানা আরো বাড়ান সাহেব। এত ছোট জেলখানায় হবে না।
আর একজন বললো, এতেই ঘাবড়ে গেলেন নাকি? আসছে ফাল্পুনে আমরা দ্বিগুণ হবো।"
এই কণ্ঠস্বরের ভেতর দিয়েই এ উপন্যাসে ধ্বনিত হয়েছে বহুস্বর, সম্মিলিত কণ্ঠধ্বনি। নতুন বসন্তের বার্তা। যুগে যুগে ফাগুন আসার বার্তা। আর এর ভেতর দিয়েই উপন্যাসটি হয়ে উঠেছে বহুস্মরিক, কালজয়ী।
লেখক
কবি
প্রাবন্ধিক
মন্তব্য করুন