ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

অস্ত্র নিয়ে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মহড়া

অস্ত্র নিয়ে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মহড়া

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বুধবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন- সমকাল

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১৬:৩১

চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিয়েছে দুই গ্রুপ। শটগান, রামদা, কিরিচ নিয়ে এক পক্ষ হামলা করেছে আরেক পক্ষের ওপর। এ সময় আশপাশের এলাকায় ককটেলের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় কলেজসহ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় যান চলাচল। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এ পরিস্থিতি অব্যাহত ছিল বুধবারও।

সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চট্টগ্রাম কলেজ ও মহসিন কলেজ এলাকা ছিল আতঙ্কের জনপদ। তবে এ ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কলেজ ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

গত সোমবার রাতে নগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত মাহমুদুল করিমকে সভাপতি এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির অনুসারী সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৫ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দেয় নগর ছাত্রলীগ।

টাকার বিনিময়ে এ কমিটিতে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের কর্মীদের পদ দেওয়া হয়েছে দাবি করে কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা।

কমিটি গঠনের পরদিন মঙ্গলবার সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন পদবঞ্চিতরা। বুধবার সকালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের চেষ্টা করেন পদবঞ্চিতরা।

এসময় পথচারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কলেজ রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ কর্মীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

দুপুর ১টার দিকে বহিরাগতদের নিয়ে চকবাজার গণি বেকারি মোড় থেকে মিছিল বের করেন আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা। তাদের মিছিলটি চট্টগ্রাম কলেজ গেটের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। এ সময় সরকারি হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজের ভেতর থেকে ছাত্রলীগের আরেক অংশের কর্মীরা কয়েক দফা পটকা ফুটালে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

চকবাজার থানার উপপরিদর্শক মো. কামাল বলেন, দুপুরের দিকে ছাত্রলীগের দু'পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ গিয়ে তাদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবারও পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ কর্মীরা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ করে রাখায় আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
দু'দিন ধরে এমন অরাজক পরিস্থিতি বিরাজ করলেও পুলিশ প্রশাসনের তেমন কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি।

প্রকাশ্যে শটগান, কিরিচ ও রামদা নিয়ে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ধাওয়া দিলেও তাদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মুখে কাপড় বেঁধে শটগান নিয়ে হামলা করতে দেখা গেছে কয়েকজনকে। কারও কারও হাতে ছিল রামদা ও কিরিচ। প্রকাশ্যে পুলিশের সামনেই এসব অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছে উভয়পক্ষ।

আরও পড়ুন

×