প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীকে হত্যা, যুবক গ্রেফতার
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | ১৫:৪১
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার পাঠাকইন-রামচন্দ্রপুর সড়কের পাশ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর উদ্ধার হওয়া তরুণীর লাশের পরিচয় উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক যুবককে।
টাঙ্গাইল থেকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই তরুণীকে সিলেটের বিশ্বনাথে নিয়ে এসে হত্যা করা হয়।
বুধবার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
খুন হওয়া তরুণী রুমী আক্তার টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার নগরভাত আউতপাড়া এলাকার আতাউর রহমানের মেয়ে। গ্রেফতার শফিক মিয়া বিশ্বনাথের রামচন্দ্রপুরের ওয়াহাব উল্লাহর ছেলে।
পুলিশ শফিককে মঙ্গলবার ভোরে মির্জাপুরের নাছির গ্লাস ফ্যাক্টরি থেকে গ্রেফতার করে। সে ওই ফ্যাক্টরিতে চাকরি করত। শফিক রুমিকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান।
তিনি জানান, মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত করে খুন হওয়া তরুণীর পরিচয় ও খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করে। এ ঘটনায় ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার জানান, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে রুমী আক্তারের সঙ্গে পরিচয় হয় শফিকের। হাসপাতালে রুমীর বেডের পাশেই চিকিৎসাধীন ছিলেন শফিকের শাশুড়ি। গত ৯ সেপ্টেম্বর সেখান থেকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে সিলেটে রুমিকে এনে হত্যা করা হয়। ১০ সেপ্টেম্বর রাতে রুমীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের গলায় প্যাঁচানো ওড়নার দুই পাশের দুই মাথায় পলিথিন দিয়ে মোড়ানো সাদা কাগজে লেখা দুইটি মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়। ওই নম্বরের সূত্র ধরে তদন্তের একপর্যায়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর লাশের সঙ্গে পাওয়া নম্বরের ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তদন্তের পথ অনেকটা এগিয়ে যায়। নিখোঁজ রুমীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা রুমীর পরিধেয় কাপড় দেখে নিশ্চিত হন।
পুলিশ সুপার আরও জানান, শফিকের ৪ জন স্ত্রী রয়েছে। বিশ্বনাথ থানায় গণধর্ষণ মামলারও সে পলাতক আসামি। তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।
ব্রিফিংকালে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহ্বুবল আলমসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।